ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নওগাঁর মান্দায় মিষ্টি আলুর গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের দিয়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন নওগাঁয় পাগলা শিয়ালের আক্রমন ও কামড়ে ৩ নারীসহ ৫ জন আহত কাজ না করে সরকারি টাকা লোপাট” এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে পথ সভা মান্দায় মণ্ডপে মণ্ডপে নগদ অর্থ উপহার দিলেন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা, ইকরামুল বারী টিপু নওগাঁ মান্দা একরুখী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দেখার মত মনে হয় কেহ নাই ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে এনায়েতপুরে বিক্ষোভ মিছিল দি সিলেট ইসলামিক সোসাইটিরপঞ্চম শ্রেণি মেধাবৃত্তি প্রদান সম্পন্ন নর্থইস্ট নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদেরআন্দোলন, কলেজ বন্ধ ঘোষণা জগন্নাথপুরে আফজল হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

অনিয়মের অভিযোগে সিলেট গণপূর্ত অধিদপ্তরের হাবিবুরকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় ও সরকারি অফিসের নিয়ম-কানুন অমান্য করার কারণে গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের অধিন সিলেট নগরীর তালতলায় অবস্থিত সাবডিভিশন অফিসে ভাউচার চৌকিদার হিসেবে কর্মরত হাবিবুর রহমান (৩৫)কে চাকুরী থেকে অব্যাহত দেয়া হয়েছে।

হাবিবুর রহমান সরকারি গণপূর্ত অফিসে নিয়মিত ডিউটি না করেও বেতন নিতেন। রাত্রিকালীন সময় হাবিব ২০০৫ সাল থেকে গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে ইএম উপ-শাখায় নিয়োগ পেয়েছিলেন। মাঝে মাঝে তিনি নিয়মিত ডিউটি না করে তার পরিবর্তে ভাগ্না সাগর আহমদকে ডিউটিতে দিয়ে হাবিব বেতন উত্তোলন করতেন। বেশির ভাগ সময় হাবিব সরকারি দপ্তরে ডিউটিতে অনুপস্থিত থাকতেন।

তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার অভিযোগের সংশ্লিষ্টতা দপ্তর জানতে পারে। এ কারণে তাকে ইএম উপ-শাখা থেকে তালতলায় অবস্থিত সাবডিভিশন অফিসে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। পাশাপাশি হাবিব গণপূর্তের স্টাফ কোয়াটার বরাদ্দ নিয়ে একা ভোগ করতে থাকেন। এত অপরাধী হয়েও তার লাগাম কেউ টেনে ধরতে পারেনি। গণপূর্তে সরকারি চাকুরীর প্রভাব খাটিয়ে তিনি অনেক অর্থ-বিত্তের মালিকও বনে যান রাতারাতি।

সিলেট নগরীর সাগরদিঘিরপার এলাকার ৩নং রোডের ১১/২নং বাসার জমি ৪০ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করার সময় নিজের নামের পরিবর্তে স্ত্রীর নামে ১৩৮৫৪৪/২০১২ নং রেজিস্ট্রার দলিল করেন। স্ত্রী মাহিয়া রহমানের নামে তিনি এ দলিল করে দেন। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে হাবিব ও তার স্ত্রীর নামে বিভিন্ন হিসাব নিকাশ রয়েছে। নিজেকে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে হাবিব বহু টাকা আয় করেন বলে জানা গেছে। হাবিবের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তার পিতা মৃত সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। হাবিব এখন সিলেট নগরীর ৩নং ওয়ার্ডের ভোটার হয়েছেন।

হাবিবের ভাগ্না সাগর আহমদ নগরীর বাগবাড়ি এতিম স্কুল রোডের খান সাহেবের বাসায় বসবাস করে ক্যাসিনো নামক জোয়ায় তরুণ সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।

হাবিবের বিরুদ্ধে এসএমপি দক্ষিণ সুরমা থানায় বিগত ২০-১২-২০১৪ ইং তারিখে একটি মাদক মামলা হয়। নগরীর মদিনা মার্কেটের একটি চেক ডিজঅনার মামলায় হাবিব আসামী হন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধিন রয়েছে। তাছাড়া কোতোয়ালী থানায় বিগত ২১-১১-২০১৭ ইং তারিখে সিআর- ১৫৮০/১৭ ও দায়রা ৫৮৯/১৮ মামলা রয়েছে। কর ফাকি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠে হাবিবের বিরুদ্ধে।

গত ৩০-১১-২০২১ইং তারিখে ২২৩৬/৬নং স্মারকে সিলেট বিভাগীয় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভাউচার ভিত্তিক চৌকিদার হাবিবুর রহমানকে গণপূর্ত দপ্তর বিভাগীয় কার্যালয় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ প্রাপ্ত হয়ে তার নামের ঠিকানায় মোবাইল ফোনে একাধিক বার ও নোটিশ প্রেরণ করা সত্ত্বেও সময় মত তিনি রিসিভ না করায় সরকারি আদেশের সকল নিয়ম-কানুন তিনি অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা ও অর্থপাচার, কর ফাকির অভিযোগ থাকায় সিলেট গণপূর্ত বিভাগের আওতায় সকল দপ্তরে সকল প্রকার কাজ কর্ম থেকে তাকে অব্যাহত প্রদান করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অনিয়মের অভিযোগে সিলেট গণপূর্ত অধিদপ্তরের হাবিবুরকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় ও সরকারি অফিসের নিয়ম-কানুন অমান্য করার কারণে গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের অধিন সিলেট নগরীর তালতলায় অবস্থিত সাবডিভিশন অফিসে ভাউচার চৌকিদার হিসেবে কর্মরত হাবিবুর রহমান (৩৫)কে চাকুরী থেকে অব্যাহত দেয়া হয়েছে।

হাবিবুর রহমান সরকারি গণপূর্ত অফিসে নিয়মিত ডিউটি না করেও বেতন নিতেন। রাত্রিকালীন সময় হাবিব ২০০৫ সাল থেকে গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে ইএম উপ-শাখায় নিয়োগ পেয়েছিলেন। মাঝে মাঝে তিনি নিয়মিত ডিউটি না করে তার পরিবর্তে ভাগ্না সাগর আহমদকে ডিউটিতে দিয়ে হাবিব বেতন উত্তোলন করতেন। বেশির ভাগ সময় হাবিব সরকারি দপ্তরে ডিউটিতে অনুপস্থিত থাকতেন।

তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার অভিযোগের সংশ্লিষ্টতা দপ্তর জানতে পারে। এ কারণে তাকে ইএম উপ-শাখা থেকে তালতলায় অবস্থিত সাবডিভিশন অফিসে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। পাশাপাশি হাবিব গণপূর্তের স্টাফ কোয়াটার বরাদ্দ নিয়ে একা ভোগ করতে থাকেন। এত অপরাধী হয়েও তার লাগাম কেউ টেনে ধরতে পারেনি। গণপূর্তে সরকারি চাকুরীর প্রভাব খাটিয়ে তিনি অনেক অর্থ-বিত্তের মালিকও বনে যান রাতারাতি।

সিলেট নগরীর সাগরদিঘিরপার এলাকার ৩নং রোডের ১১/২নং বাসার জমি ৪০ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করার সময় নিজের নামের পরিবর্তে স্ত্রীর নামে ১৩৮৫৪৪/২০১২ নং রেজিস্ট্রার দলিল করেন। স্ত্রী মাহিয়া রহমানের নামে তিনি এ দলিল করে দেন। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে হাবিব ও তার স্ত্রীর নামে বিভিন্ন হিসাব নিকাশ রয়েছে। নিজেকে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে হাবিব বহু টাকা আয় করেন বলে জানা গেছে। হাবিবের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তার পিতা মৃত সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। হাবিব এখন সিলেট নগরীর ৩নং ওয়ার্ডের ভোটার হয়েছেন।

হাবিবের ভাগ্না সাগর আহমদ নগরীর বাগবাড়ি এতিম স্কুল রোডের খান সাহেবের বাসায় বসবাস করে ক্যাসিনো নামক জোয়ায় তরুণ সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।

হাবিবের বিরুদ্ধে এসএমপি দক্ষিণ সুরমা থানায় বিগত ২০-১২-২০১৪ ইং তারিখে একটি মাদক মামলা হয়। নগরীর মদিনা মার্কেটের একটি চেক ডিজঅনার মামলায় হাবিব আসামী হন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধিন রয়েছে। তাছাড়া কোতোয়ালী থানায় বিগত ২১-১১-২০১৭ ইং তারিখে সিআর- ১৫৮০/১৭ ও দায়রা ৫৮৯/১৮ মামলা রয়েছে। কর ফাকি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠে হাবিবের বিরুদ্ধে।

গত ৩০-১১-২০২১ইং তারিখে ২২৩৬/৬নং স্মারকে সিলেট বিভাগীয় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভাউচার ভিত্তিক চৌকিদার হাবিবুর রহমানকে গণপূর্ত দপ্তর বিভাগীয় কার্যালয় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ প্রাপ্ত হয়ে তার নামের ঠিকানায় মোবাইল ফোনে একাধিক বার ও নোটিশ প্রেরণ করা সত্ত্বেও সময় মত তিনি রিসিভ না করায় সরকারি আদেশের সকল নিয়ম-কানুন তিনি অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা ও অর্থপাচার, কর ফাকির অভিযোগ থাকায় সিলেট গণপূর্ত বিভাগের আওতায় সকল দপ্তরে সকল প্রকার কাজ কর্ম থেকে তাকে অব্যাহত প্রদান করা হয়।