ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন ::
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন এর জন্য যোগাযোগ করুনঃ ০১৫৭২-৬৩১৭৪৫
বিজ্ঞপ্তিঃ ::
আমাদের পত্রিকাতে সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠিয়ে দিন ই-মেইলেঃ sylhetertimes24@gmail.com

“আইপি টিভি-রেডিও-পত্রিকার অনলাইন নিবন্ধন নিতে হবে” শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:১৫:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০ ২৫২ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের টাইমস এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দৈনিক পত্রিকা, রেডিও এবং টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণের পাশাপাশি আইপি টিভির জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৭’ (সংশোধিত, ২০২০) এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৩১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ২০১৭ সালের অনলাইন নীতিমালা ছিল। এর উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হচ্ছে- অনলাইন গণমাধ্যম সেবা প্রদানের জন্য নিবন্ধন প্রদান, পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং এবং মান বজায় রাখার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা। নিবন্ধন প্রদানের মাধ্যমে সকল অনলাইন গণমাধ্যমে একটি সমন্বিত ব্যবস্থার আওতায় এনে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করা, জনস্বার্থ রক্ষা করা, মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ইতিহাস সংরক্ষণ করা, সামাজিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনলাইনে তথ্য উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচার করা তা নিশ্চিত করা, বাংলাদেশের নারী-শিশু ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠির ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা নিশ্চিত করা, সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধ এবং সামাজিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা এবং দেশের সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল ও গুজব প্রতিরোধে সহযোগিতা করা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এটার (২০১৭ সালের নীতিমালা) মধ্যে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, নিবন্ধন ফি, কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ, লাইসেন্সপ্রাপ্ত টেলিভিশন চ্যানেল এবং বেতারের নিউজ পোর্টাল হিসাবে প্রচার কার্য পরিচালনা, আইপি টিভি ও ইন্টারনেট রেডিও সম্প্রচার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা ছিল না। এগুলো ইনক্লুড করে একটা খসড়া নিয়ে এসেছে, খসড়া মন্ত্রিসভায় আলোচিত হয়েছে এবং খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, টেলিভিশন এবং বেতার নিউজ পোর্টাল হিসাবে চালাচ্ছে। এটার অনুমতি নিতে হতো না। এখন নিতে হবে। আইপি টিভি, ইন্টারনেট রেডিও সম্প্রচারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল না- সেজন্য এগুলো ঢোকানো হয়েছে।

‘তবে পত্রিকাগুলো যদি এক্সাটলি হার্ডকপি যা ছাপছে, সেটাই যদি অনলাইনে দিয়ে দেয় তাহলে কোনো অনুমতি লাগবে না। কিন্তু যদি কেউ ভেরিয়েশেন করে তখন তাকে অনুমতি নিতে হবে। কারণ, অনেকেই এক্সাটলি তা দিচ্ছে না। অনলাইন ভার্সনে ভেরিয়েশন থাকলে লাইসেন্স নিতে হবে।’

তিনি বলেন, রেডিও-টেলিভিশন তো অনলাইন করার জন্য না, তারা যে মাধ্যমে চালাবে সেই মাধ্যমে…, তারপরে যদি অনলাইন করতে হয় তাহলে রেডিও-টেলিভিশন দুটোকেই অনুমতি নিতে হবে।

তাহলে কি নিবন্ধন লাগবে- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, হ্যাঁ, নিবন্ধন নিতে হবে।

যতক্ষণ পর্যন্ত সম্প্রচার কমিশন না হবে ততক্ষণ তথ্য মন্ত্রণালয় যে কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে সেটাই হবে পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ।

দেশের অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, নিবন্ধনের জন্য প্রথম দফায় গত ৩০ জুলাই ৩৪টি অনলাইন পোর্টালকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেগুলো এখনও নিবন্ধন হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ফি নির্ধারণের পর নিবন্ধন শুরু হবে বলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

“আইপি টিভি-রেডিও-পত্রিকার অনলাইন নিবন্ধন নিতে হবে” শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৭:১৫:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০

দৈনিক পত্রিকা, রেডিও এবং টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণের পাশাপাশি আইপি টিভির জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৭’ (সংশোধিত, ২০২০) এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৩১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ২০১৭ সালের অনলাইন নীতিমালা ছিল। এর উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হচ্ছে- অনলাইন গণমাধ্যম সেবা প্রদানের জন্য নিবন্ধন প্রদান, পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং এবং মান বজায় রাখার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা। নিবন্ধন প্রদানের মাধ্যমে সকল অনলাইন গণমাধ্যমে একটি সমন্বিত ব্যবস্থার আওতায় এনে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করা, জনস্বার্থ রক্ষা করা, মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ইতিহাস সংরক্ষণ করা, সামাজিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনলাইনে তথ্য উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচার করা তা নিশ্চিত করা, বাংলাদেশের নারী-শিশু ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠির ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা নিশ্চিত করা, সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধ এবং সামাজিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা এবং দেশের সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল ও গুজব প্রতিরোধে সহযোগিতা করা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এটার (২০১৭ সালের নীতিমালা) মধ্যে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, নিবন্ধন ফি, কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ, লাইসেন্সপ্রাপ্ত টেলিভিশন চ্যানেল এবং বেতারের নিউজ পোর্টাল হিসাবে প্রচার কার্য পরিচালনা, আইপি টিভি ও ইন্টারনেট রেডিও সম্প্রচার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা ছিল না। এগুলো ইনক্লুড করে একটা খসড়া নিয়ে এসেছে, খসড়া মন্ত্রিসভায় আলোচিত হয়েছে এবং খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, টেলিভিশন এবং বেতার নিউজ পোর্টাল হিসাবে চালাচ্ছে। এটার অনুমতি নিতে হতো না। এখন নিতে হবে। আইপি টিভি, ইন্টারনেট রেডিও সম্প্রচারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল না- সেজন্য এগুলো ঢোকানো হয়েছে।

‘তবে পত্রিকাগুলো যদি এক্সাটলি হার্ডকপি যা ছাপছে, সেটাই যদি অনলাইনে দিয়ে দেয় তাহলে কোনো অনুমতি লাগবে না। কিন্তু যদি কেউ ভেরিয়েশেন করে তখন তাকে অনুমতি নিতে হবে। কারণ, অনেকেই এক্সাটলি তা দিচ্ছে না। অনলাইন ভার্সনে ভেরিয়েশন থাকলে লাইসেন্স নিতে হবে।’

তিনি বলেন, রেডিও-টেলিভিশন তো অনলাইন করার জন্য না, তারা যে মাধ্যমে চালাবে সেই মাধ্যমে…, তারপরে যদি অনলাইন করতে হয় তাহলে রেডিও-টেলিভিশন দুটোকেই অনুমতি নিতে হবে।

তাহলে কি নিবন্ধন লাগবে- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, হ্যাঁ, নিবন্ধন নিতে হবে।

যতক্ষণ পর্যন্ত সম্প্রচার কমিশন না হবে ততক্ষণ তথ্য মন্ত্রণালয় যে কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে সেটাই হবে পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ।

দেশের অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, নিবন্ধনের জন্য প্রথম দফায় গত ৩০ জুলাই ৩৪টি অনলাইন পোর্টালকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেগুলো এখনও নিবন্ধন হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ফি নির্ধারণের পর নিবন্ধন শুরু হবে বলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।