ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন ::
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন এর জন্য যোগাযোগ করুনঃ ০১৫৭২-৬৩১৭৪৫
বিজ্ঞপ্তিঃ ::
আমাদের পত্রিকাতে সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠিয়ে দিন ই-মেইলেঃ sylhetertimes24@gmail.com

কমেনি চালের দাম বেড়েছে দফায় দফায়

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০ ২২৪ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের টাইমস এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বছরজুড়েই চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। বেড়েছে দাম দফায় দফায়। দাম নিয়ন্ত্রণে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বারবার মিল মালিকদের প্রতি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এরপরও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না চালের বাজার। তবে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বরাবরই তৎপর ছিল খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তর। এ লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টাও ছিল শুরু থেকেই। চাল ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করতে দেখা গেছে মন্ত্রণালয়কে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার এক বৈঠকে চালের দাম কমাতে মিল মালিকদের কড়া নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মন্ত্রী বলেন, চালের দাম ১৫ দিন আগে যা ছিল সে দামেই পুরো অক্টোবর মাস বিক্রি করতে হবে। কোনোভাবেই এ মাসে আর চালের দাম বাড়ানো যাবে না। যাদের ধান মজুত অস্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে গত এক সপ্তাহে যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তা কমিয়ে আনারও নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী। বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী প্রথমে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চালের দাম ২,৬০০ টাকা এবং আটাশ চালের দাম ২,৩০০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু চাল ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে খাদ্যমন্ত্রী ১৫ দিন আগের দামে চাল বিক্রির নির্দেশ দেন। এতো কিছুর পরও চালের দাম এখনো চড়া।

টিসিবি ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ দিন আগে গত ১৪ই সেপ্টেম্বর রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, মাঝারি চাল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৫৬ থেকে ৬০ টাকা ছিল। আর পাইকারিতে ১৫ দিন আগে মোটা চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা, মাঝারি ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা, মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫২ টাকা ও নাজিরশাইল ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের চালের দর সব পর্যায়ে কেজিতে গড়ে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

খাদ্য অধিদপ্তর বলছে, চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় মিটিং করে নির্দেশ দেয়া হয়েছে কোনোভাবেই যেন চালের দাম বৃদ্ধি না পায়। একদিকে ব্যবসায়ীদের চালের দাম বৃদ্ধি না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, অপরদিকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে চালের বাজারের ওপর নজর রাখতে। এ লক্ষ্যে অধিদপ্তর ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বাজার মনিটরিংয়ের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে চাল ব্যবসায়ীদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বলেন, চালের দাম যাতে বৃদ্ধি না পায় সে জন্য সব ধরনের সহযোগিতা সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে।
এতো সব উদ্যোগের পরও দাম না কমায় খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বাজার মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মনিটরিংয়ের জন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত চালের মজুত পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও রয়েছে। সূত্র আরো জানায়, সুপার কোয়ালিফাই মিনিকেট চাল প্রতি ৫০ কেজি ওজনের বস্তা ২,৫৭৫ টাকায় ও মিডিয়াম কোয়ালিফাই মিনিকেট ২,২৫০ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনোভাবে ব্যত্যয় ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে।

খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ, বণ্টন ও বিপণন বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত পরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, মিল মালিকরা চাল সংরক্ষণ করছেন। চালের যে পাইকারি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি তারা তা না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মঙ্গলবারের সভায় পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশের মিলগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এক্ষেত্রে কোথাও এ পরিমাণের বেশি মজুত পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সারা দেশে বাজারগুলোতে এবং যেসব জায়গায় চাল মজুত রাখার সম্ভাবনা সেখানেও অভিযান জোরদার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

ওদিকে মিল মালিকরা বলছেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পূর্বের মূল্যের চেয়ে কমমূল্যে চাল বিক্রি করছেন তারা। তবে খুচরা বাজারে কেন দাম কমছে না?  তাই সরকারকে বাজার মনিটরিংয়ে জোর দিতে বলছেন তারা।

চাঁপাই নবাবগঞ্জের বিসমিল্লাহ এগ্রো ফুডের ম্যানেজার মো. মাসুম মানবজমিনকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এটা অনেকেই মানছেন না। তবে অনেক মিল মালিকরা পূর্বের দামে চাল সরবরাহ দিচ্ছেন। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীরা তা বেশি দামে বিক্রি করছেন। ফলে খুচরা বাজারে দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, বাজার এখন গতিহীন। তাই আমরা আপাতত চাল বিক্রি বন্ধ রেখেছি। তবে ধান সংগ্রহ করছি। বাজার ঠিক হলে চাল সরবরাহ শুরু করবো।

তবে কাওরান বাজারের জনতা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী আবু ওসমান অভিযোগ করে বলেন, দাম বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকরাই দায়ী। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও তারা মানছেন না। ফলে বাজার আগের মতোই চড়া রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই।

সুত্র:মানবজমিন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কমেনি চালের দাম বেড়েছে দফায় দফায়

আপডেট সময় : ০৬:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

বছরজুড়েই চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। বেড়েছে দাম দফায় দফায়। দাম নিয়ন্ত্রণে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বারবার মিল মালিকদের প্রতি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এরপরও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না চালের বাজার। তবে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বরাবরই তৎপর ছিল খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তর। এ লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টাও ছিল শুরু থেকেই। চাল ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করতে দেখা গেছে মন্ত্রণালয়কে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার এক বৈঠকে চালের দাম কমাতে মিল মালিকদের কড়া নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মন্ত্রী বলেন, চালের দাম ১৫ দিন আগে যা ছিল সে দামেই পুরো অক্টোবর মাস বিক্রি করতে হবে। কোনোভাবেই এ মাসে আর চালের দাম বাড়ানো যাবে না। যাদের ধান মজুত অস্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে গত এক সপ্তাহে যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তা কমিয়ে আনারও নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী। বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী প্রথমে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চালের দাম ২,৬০০ টাকা এবং আটাশ চালের দাম ২,৩০০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু চাল ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে খাদ্যমন্ত্রী ১৫ দিন আগের দামে চাল বিক্রির নির্দেশ দেন। এতো কিছুর পরও চালের দাম এখনো চড়া।

টিসিবি ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ দিন আগে গত ১৪ই সেপ্টেম্বর রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, মাঝারি চাল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৫৬ থেকে ৬০ টাকা ছিল। আর পাইকারিতে ১৫ দিন আগে মোটা চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা, মাঝারি ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা, মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫২ টাকা ও নাজিরশাইল ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের চালের দর সব পর্যায়ে কেজিতে গড়ে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

খাদ্য অধিদপ্তর বলছে, চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় মিটিং করে নির্দেশ দেয়া হয়েছে কোনোভাবেই যেন চালের দাম বৃদ্ধি না পায়। একদিকে ব্যবসায়ীদের চালের দাম বৃদ্ধি না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, অপরদিকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে চালের বাজারের ওপর নজর রাখতে। এ লক্ষ্যে অধিদপ্তর ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বাজার মনিটরিংয়ের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে চাল ব্যবসায়ীদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বলেন, চালের দাম যাতে বৃদ্ধি না পায় সে জন্য সব ধরনের সহযোগিতা সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে।
এতো সব উদ্যোগের পরও দাম না কমায় খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বাজার মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মনিটরিংয়ের জন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত চালের মজুত পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও রয়েছে। সূত্র আরো জানায়, সুপার কোয়ালিফাই মিনিকেট চাল প্রতি ৫০ কেজি ওজনের বস্তা ২,৫৭৫ টাকায় ও মিডিয়াম কোয়ালিফাই মিনিকেট ২,২৫০ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনোভাবে ব্যত্যয় ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে।

খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ, বণ্টন ও বিপণন বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত পরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, মিল মালিকরা চাল সংরক্ষণ করছেন। চালের যে পাইকারি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি তারা তা না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মঙ্গলবারের সভায় পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশের মিলগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এক্ষেত্রে কোথাও এ পরিমাণের বেশি মজুত পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সারা দেশে বাজারগুলোতে এবং যেসব জায়গায় চাল মজুত রাখার সম্ভাবনা সেখানেও অভিযান জোরদার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

ওদিকে মিল মালিকরা বলছেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পূর্বের মূল্যের চেয়ে কমমূল্যে চাল বিক্রি করছেন তারা। তবে খুচরা বাজারে কেন দাম কমছে না?  তাই সরকারকে বাজার মনিটরিংয়ে জোর দিতে বলছেন তারা।

চাঁপাই নবাবগঞ্জের বিসমিল্লাহ এগ্রো ফুডের ম্যানেজার মো. মাসুম মানবজমিনকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এটা অনেকেই মানছেন না। তবে অনেক মিল মালিকরা পূর্বের দামে চাল সরবরাহ দিচ্ছেন। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীরা তা বেশি দামে বিক্রি করছেন। ফলে খুচরা বাজারে দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, বাজার এখন গতিহীন। তাই আমরা আপাতত চাল বিক্রি বন্ধ রেখেছি। তবে ধান সংগ্রহ করছি। বাজার ঠিক হলে চাল সরবরাহ শুরু করবো।

তবে কাওরান বাজারের জনতা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী আবু ওসমান অভিযোগ করে বলেন, দাম বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকরাই দায়ী। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও তারা মানছেন না। ফলে বাজার আগের মতোই চড়া রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই।

সুত্র:মানবজমিন