ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নওগাঁর মান্দায় মিষ্টি আলুর গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের দিয়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন নওগাঁয় পাগলা শিয়ালের আক্রমন ও কামড়ে ৩ নারীসহ ৫ জন আহত কাজ না করে সরকারি টাকা লোপাট” এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে পথ সভা মান্দায় মণ্ডপে মণ্ডপে নগদ অর্থ উপহার দিলেন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা, ইকরামুল বারী টিপু নওগাঁ মান্দা একরুখী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দেখার মত মনে হয় কেহ নাই ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে এনায়েতপুরে বিক্ষোভ মিছিল দি সিলেট ইসলামিক সোসাইটিরপঞ্চম শ্রেণি মেধাবৃত্তি প্রদান সম্পন্ন নর্থইস্ট নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদেরআন্দোলন, কলেজ বন্ধ ঘোষণা জগন্নাথপুরে আফজল হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

করোনার কারনে দেশে ফিরছেন ৭৮ হাজার প্রবাসী

প্রতিনিধির নামঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:২২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০ ১০৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেটের টাইমস ডেস্ক :: করোনায় ৭৮ হাজার প্রবাসী বিশ্বের ২৬টি দেশ থেকে ফিরেছেন। করোনা এবং জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় প্রবাসীরা বাংলাদেশে ফিরে আসছেন। বিভিন্ন দেশে প্রায় ৭০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৩৭৭ জন। ফেরত আসা শ্রমিকরা কবে নাগাদ কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন, তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। একই সময়ে প্রায় ২ লাখ মানুষ বিদেশে যাওয়ার কথা থাকলেও তারা করোনার কারণে যেতে পারেননি। সব মিলিয়ে করোনায় প্রবাসী ও বিদেশ যাওয়ার লাইনে থাকা ৩ লাখ বাংলাদেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, প্রবাসে ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশির মধ্যে ৭৫ লাখই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ে এসব দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। তবে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষ কর্মী পাঠাতে তারা প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসীদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন। বর্তমানে করোনা এবং জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় এসব দেশে কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে আসছে, যা প্রবাসীদের ওপর প্রভাব ফেলছে।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি কতদিন থাকবে, তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করবে। তার মতে, ফিরে আসা প্রবাসীদের কাজের জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে তাদের পুঁজির জোগান দিতে পারলে তারা কোনো কাজকর্ম করে আপাতত টিকে থাকতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে করোনা কেটে গেলে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তাদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। তবে অবৈধ প্রবাসীদের আবারও ওই দেশে পাঠানো কঠিন বলে জানান তিনি।

এদিকে রোববার এক অনুষ্ঠানে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, করোনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৭৮ হাজার প্রবাসী ফেরত এসেছেন। এদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের চেষ্টা করছে সরকার। তিনি বলেন, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত লক্ষ্য পূরণে মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ১ এপ্রিল থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত ২৬টি দেশ থেকে ফিরেছেন ৭৮ হাজার ৪৩ জন প্রবাসী। এর মধ্যে পুরুষ ৭৩ হাজার ৩১১ এবং নারী ৪ হাজার ৭৩২ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। দেশটি থেকে ফিরেছেন ২৫ হাজার ৬৫৩ জন কর্মী।দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সৌদি আরব থেকে এসেছেন ১৫ হাজার ৩৮৯ জন। সৌদিফেরত কর্মীদের মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাস নিয়ে ফিরেছেন। এ ছাড়া মালদ্বীপ থেকে ৭ হাজার ৯০৯, কুয়েত থেকে ৭ হাজার ৩২৯, কাতার থেকে ৬ হাজার ৬০১, ওমান থেকে ৩ হাজার ৮৮৪, মালয়েশিয়া থেকে ২ হাজার ২২৬, ইরাক থেকে ২ হাজার ১৩৬, তুরস্ক থেকে ১ হাজার ৯৪৮, সিঙ্গাপুর থেকে ১ হাজার ৩৮২, জর্ডান থেকে ১ হাজার ২৬, লেবানন থেকে ৯৭৬, বাহরাইন থেকে ৭৪৬, ইতালি থেকে ১৫১, ভিয়েতনাম থেকে ১২২, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১০০, রাশিয়া থেকে ১০০, শ্রীলংকা থেকে ৮০, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৭১, নেপাল থেকে ৫৫, কম্বোডিয়া থেকে ৪০, মিয়ানমার থেকে ৩৯, মরিশাস থেকে ৩৬, থাইল্যান্ড থেকে ২০, হংকং থেকে ১৬ ও জাপান থেকে ৮ জন প্রবাসী ফেরত এসেছেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্যানুযায়ী, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর শীর্ষ ১০ দেশের একটি। বর্তমানে এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। এদের ৭৫ শতাংশই আছেন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।

এককভাবে সৌদি আরবেই আছেন ২০ লাখ বাংলাদেশি। আরব আমিরাতে ১৫ লাখ।এ ছাড়া কাতার, কুয়েত, ওমান, বাহরাইনে গড়ে ৩-৪ লাখ বাংলাদেশি আছেন। তবে মোট প্রবাসীর মধ্যে চিকিৎসক, প্রকৌশলীর মতো পেশাদার মাত্র ২ শতাংশ। বাকিরা সবাই অদক্ষ বা আধা দক্ষ। এদের অধিকাংশই নির্মাণ শ্রমিক। প্রতিবছর প্রবাসীরা প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স পাঠান। কিন্তু করোনায় এ খাতটি সংকটে পড়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবাসী আয় ২২ শতাংশ কমে যাবে। সৌদি আরবের ইংরেজি দৈনিক সৌদি গেজেটে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলছে, মহামারীর কারণে এ বছরই দেশটিতে ১২ লাখ বিদেশি কর্মী চাকরি হারাবে। সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস ঢাকায় পাঠানো এক চিঠিতে বলেছে, আগামী তিন বছর ১০ লাখ বাংলাদেশি চাকরি হারাতে পারেন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রথমত, করোনায় বিশ্বের সব দেশের অর্থনীতি স্থবির। নতুন কোনো বিনিয়োগ নেই। দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতির মূলশক্তি জ্বালানি তেল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি তেলের দাম তলানিতে নেমে এসেছে। এসব তেল কোম্পানিতে ছাঁটাই চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

করোনার কারনে দেশে ফিরছেন ৭৮ হাজার প্রবাসী

আপডেট সময় : ০৮:২২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০

সিলেটের টাইমস ডেস্ক :: করোনায় ৭৮ হাজার প্রবাসী বিশ্বের ২৬টি দেশ থেকে ফিরেছেন। করোনা এবং জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় প্রবাসীরা বাংলাদেশে ফিরে আসছেন। বিভিন্ন দেশে প্রায় ৭০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৩৭৭ জন। ফেরত আসা শ্রমিকরা কবে নাগাদ কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন, তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। একই সময়ে প্রায় ২ লাখ মানুষ বিদেশে যাওয়ার কথা থাকলেও তারা করোনার কারণে যেতে পারেননি। সব মিলিয়ে করোনায় প্রবাসী ও বিদেশ যাওয়ার লাইনে থাকা ৩ লাখ বাংলাদেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, প্রবাসে ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশির মধ্যে ৭৫ লাখই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ে এসব দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। তবে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষ কর্মী পাঠাতে তারা প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসীদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন। বর্তমানে করোনা এবং জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় এসব দেশে কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে আসছে, যা প্রবাসীদের ওপর প্রভাব ফেলছে।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি কতদিন থাকবে, তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করবে। তার মতে, ফিরে আসা প্রবাসীদের কাজের জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে তাদের পুঁজির জোগান দিতে পারলে তারা কোনো কাজকর্ম করে আপাতত টিকে থাকতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে করোনা কেটে গেলে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তাদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। তবে অবৈধ প্রবাসীদের আবারও ওই দেশে পাঠানো কঠিন বলে জানান তিনি।

এদিকে রোববার এক অনুষ্ঠানে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, করোনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৭৮ হাজার প্রবাসী ফেরত এসেছেন। এদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের চেষ্টা করছে সরকার। তিনি বলেন, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত লক্ষ্য পূরণে মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ১ এপ্রিল থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত ২৬টি দেশ থেকে ফিরেছেন ৭৮ হাজার ৪৩ জন প্রবাসী। এর মধ্যে পুরুষ ৭৩ হাজার ৩১১ এবং নারী ৪ হাজার ৭৩২ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। দেশটি থেকে ফিরেছেন ২৫ হাজার ৬৫৩ জন কর্মী।দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সৌদি আরব থেকে এসেছেন ১৫ হাজার ৩৮৯ জন। সৌদিফেরত কর্মীদের মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাস নিয়ে ফিরেছেন। এ ছাড়া মালদ্বীপ থেকে ৭ হাজার ৯০৯, কুয়েত থেকে ৭ হাজার ৩২৯, কাতার থেকে ৬ হাজার ৬০১, ওমান থেকে ৩ হাজার ৮৮৪, মালয়েশিয়া থেকে ২ হাজার ২২৬, ইরাক থেকে ২ হাজার ১৩৬, তুরস্ক থেকে ১ হাজার ৯৪৮, সিঙ্গাপুর থেকে ১ হাজার ৩৮২, জর্ডান থেকে ১ হাজার ২৬, লেবানন থেকে ৯৭৬, বাহরাইন থেকে ৭৪৬, ইতালি থেকে ১৫১, ভিয়েতনাম থেকে ১২২, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১০০, রাশিয়া থেকে ১০০, শ্রীলংকা থেকে ৮০, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৭১, নেপাল থেকে ৫৫, কম্বোডিয়া থেকে ৪০, মিয়ানমার থেকে ৩৯, মরিশাস থেকে ৩৬, থাইল্যান্ড থেকে ২০, হংকং থেকে ১৬ ও জাপান থেকে ৮ জন প্রবাসী ফেরত এসেছেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্যানুযায়ী, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর শীর্ষ ১০ দেশের একটি। বর্তমানে এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। এদের ৭৫ শতাংশই আছেন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।

এককভাবে সৌদি আরবেই আছেন ২০ লাখ বাংলাদেশি। আরব আমিরাতে ১৫ লাখ।এ ছাড়া কাতার, কুয়েত, ওমান, বাহরাইনে গড়ে ৩-৪ লাখ বাংলাদেশি আছেন। তবে মোট প্রবাসীর মধ্যে চিকিৎসক, প্রকৌশলীর মতো পেশাদার মাত্র ২ শতাংশ। বাকিরা সবাই অদক্ষ বা আধা দক্ষ। এদের অধিকাংশই নির্মাণ শ্রমিক। প্রতিবছর প্রবাসীরা প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স পাঠান। কিন্তু করোনায় এ খাতটি সংকটে পড়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবাসী আয় ২২ শতাংশ কমে যাবে। সৌদি আরবের ইংরেজি দৈনিক সৌদি গেজেটে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলছে, মহামারীর কারণে এ বছরই দেশটিতে ১২ লাখ বিদেশি কর্মী চাকরি হারাবে। সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস ঢাকায় পাঠানো এক চিঠিতে বলেছে, আগামী তিন বছর ১০ লাখ বাংলাদেশি চাকরি হারাতে পারেন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রথমত, করোনায় বিশ্বের সব দেশের অর্থনীতি স্থবির। নতুন কোনো বিনিয়োগ নেই। দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতির মূলশক্তি জ্বালানি তেল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি তেলের দাম তলানিতে নেমে এসেছে। এসব তেল কোম্পানিতে ছাঁটাই চলছে।