ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন ::
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন এর জন্য যোগাযোগ করুনঃ ০১৫৭২-৬৩১৭৪৫
বিজ্ঞপ্তিঃ ::
আমাদের পত্রিকাতে সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠিয়ে দিন ই-মেইলেঃ sylhetertimes24@gmail.com

চীন থেকে বোতল এনে নকল প্রসাধনী বিক্রি

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:২০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩০ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের টাইমস এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চীন থেকে ৩২ ধরনের প্রসাধনী পণ্যের খালি বোতল আমদানি করে নকল প্রসাধনী তৈরি করে তাতে ভরে বিক্রি করত তাকওয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক সাইফুদ্দিন চৌধুরী। একই কাজ করেন পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার তাজমহল টাওয়ারের আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার দুপুর থেকে এসবের সন্ধানে তাজমহল টাওয়ার ও সোয়ারী ঘাটের চম্পাটুলি লেন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। অভিযানে র‌্যাব দেখতে পায় এসব দোকানে অবৈধভাবে আমদানি করা খালি বোতল নিজেদের অনুমোদনহীন কারখানায় নিয়ে রিফিল করে স্টিকার লাগিয়ে বাজারজাত করার চিত্র। যার মধ্যে শিশুদের জনসন বেবি লোশন, বেবি স্যাম্পু, জনসন পাউডার, ইউনিলিভারের পন্ডস, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীসহ ৩২ ধরনের পণ্যের নকল প্রসাধনী আসল বলে বাজারে বিক্রি করতেন সাইফুদ্দিন চৌধুরী।

অভিযানের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, তাজমহল টাওয়ারের তাকওয়া এন্টারপ্রাইজে অভিযান পরিচালনা করে ৩২ ধরনের বিদেশি বিভিন্ন ব্যান্ডের নকল প্রসাধনী পণ্য পাওয়া যায়।

এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া তাকওয়া প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল আলিম নকির, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. আরমান, শেখ সাউদুল ইসলাম ও খায়ের হোসেন প্রত্যেককে ২ বছর করে কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা করে মোট ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অপরদিকে, সোয়ারীঘাট এলাকার ৬/১০ চম্পাটুলি লেন এলাকায় নকল কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক মো. বাসারের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

তিনি বলেন, বিদেশি প্রসাধনী বিক্রির নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতারণা করে আসছে। এসব প্রসাধনীর মধ্যে শিশুদের ব্যবহার্য পণ্যই বেশি। এতে শিশুদের ত্বকে নানা রোগ দেখা দেয়। সকাল থেকে শুরু হওয়া র‌্যাবের এই অভিযান চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। অভিযানে সহযোগিতা করেছে র‌্যাব-১০ ও বিএসটিআইর সদস্যরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চীন থেকে বোতল এনে নকল প্রসাধনী বিক্রি

আপডেট সময় : ০৬:২০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

চীন থেকে ৩২ ধরনের প্রসাধনী পণ্যের খালি বোতল আমদানি করে নকল প্রসাধনী তৈরি করে তাতে ভরে বিক্রি করত তাকওয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক সাইফুদ্দিন চৌধুরী। একই কাজ করেন পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার তাজমহল টাওয়ারের আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার দুপুর থেকে এসবের সন্ধানে তাজমহল টাওয়ার ও সোয়ারী ঘাটের চম্পাটুলি লেন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। অভিযানে র‌্যাব দেখতে পায় এসব দোকানে অবৈধভাবে আমদানি করা খালি বোতল নিজেদের অনুমোদনহীন কারখানায় নিয়ে রিফিল করে স্টিকার লাগিয়ে বাজারজাত করার চিত্র। যার মধ্যে শিশুদের জনসন বেবি লোশন, বেবি স্যাম্পু, জনসন পাউডার, ইউনিলিভারের পন্ডস, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীসহ ৩২ ধরনের পণ্যের নকল প্রসাধনী আসল বলে বাজারে বিক্রি করতেন সাইফুদ্দিন চৌধুরী।

অভিযানের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, তাজমহল টাওয়ারের তাকওয়া এন্টারপ্রাইজে অভিযান পরিচালনা করে ৩২ ধরনের বিদেশি বিভিন্ন ব্যান্ডের নকল প্রসাধনী পণ্য পাওয়া যায়।

এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া তাকওয়া প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল আলিম নকির, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. আরমান, শেখ সাউদুল ইসলাম ও খায়ের হোসেন প্রত্যেককে ২ বছর করে কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা করে মোট ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অপরদিকে, সোয়ারীঘাট এলাকার ৬/১০ চম্পাটুলি লেন এলাকায় নকল কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক মো. বাসারের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

তিনি বলেন, বিদেশি প্রসাধনী বিক্রির নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতারণা করে আসছে। এসব প্রসাধনীর মধ্যে শিশুদের ব্যবহার্য পণ্যই বেশি। এতে শিশুদের ত্বকে নানা রোগ দেখা দেয়। সকাল থেকে শুরু হওয়া র‌্যাবের এই অভিযান চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। অভিযানে সহযোগিতা করেছে র‌্যাব-১০ ও বিএসটিআইর সদস্যরা।