ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নওগাঁর মান্দায় মিষ্টি আলুর গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের দিয়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন নওগাঁয় পাগলা শিয়ালের আক্রমন ও কামড়ে ৩ নারীসহ ৫ জন আহত কাজ না করে সরকারি টাকা লোপাট” এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে পথ সভা মান্দায় মণ্ডপে মণ্ডপে নগদ অর্থ উপহার দিলেন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা, ইকরামুল বারী টিপু নওগাঁ মান্দা একরুখী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দেখার মত মনে হয় কেহ নাই ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে এনায়েতপুরে বিক্ষোভ মিছিল দি সিলেট ইসলামিক সোসাইটিরপঞ্চম শ্রেণি মেধাবৃত্তি প্রদান সম্পন্ন নর্থইস্ট নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদেরআন্দোলন, কলেজ বন্ধ ঘোষণা জগন্নাথপুরে আফজল হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

তিন বছরেও জগন্নাথপুরের ব্যবসায়ী আনন্দ হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়নি, হতাশ স্বজনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:১১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ থেকে  তিন বছর আগে   সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের  তরুণ ব্যবসায়ী ও আলোকচিত্রি আনন্দ সরকার (২৪) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার  তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।  এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারও করতে পারেনি মামলার তদন্তকারী সংস্থা।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর এই দিনে তরুণ ব্যবসায়ীর তালাবদ্ধ দোকানঘর থেকে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন বছরে এ হত্যাকাণ্ডের  ক্লু উদঘাটন না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন নিহতের স্বজনরা।

নিহতের স্বজনরা জানান, ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর জগন্নাথপুর পৌর এলাকার সিএ মার্কেট এলাকায় নিজ স্টুডিওর ভেতর থেকে গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগ সিআইডি মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেন। ঘটনার পর পর আনন্দ সরকারের ভাই জীবন সরকার বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তার মা বাদী হয়ে আদালতে এ ঘটনায় পৃথক আরেকটি অভিযোগ দাখিল করেন।

আনন্দ সরকার নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বটতলা গ্রামের সুনিল সরকারের ছেলে। ২০১৭ সালে কাজের খুঁজে জগন্নাথপুর এসে সেখানে দেড় বছর একটি স্টুডিওতে দোকান কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। পরে নিজে স্টুডিও ব্যবসা শুরু করেন। রাতে ওই দোকানে রাত্রি যাপন করতেন। ঘটনার কয়েক দিন আগে একটি বেসরকারি এনজিও থেকে টাকা তুলে ক্যামেরা ক্রয় করেন।

এরপর তালাবদ্ধ দোকানের ভেতর থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। উপজেলা সদরে এমন নৃশংস হতাকাণ্ডের ঘটনা নাড়িয়ে দেয় উপজেলাবাসীকে। কেন এ হত্যাকা-, কারা এ নির্মম খুনের ঘটনায় জড়িত এসব নানা প্রশ্ন মানুষের মনে উঁকি দিলেও হত্যার রহস্য যেন হিমঘরে পড়ে আছে।

নিহত আনন্দ সরকারের ভাই জীবন সরকার জানান, দীর্ঘ তিন বছর অতিবাহিত হলেও আমার ভাই হত্যার কোন ক্লু উদঘাটন ও ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় আমরা হতাশ। আমরা দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগ সিআইডির পরিদর্শক ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, আনন্দ সরকার হত্যা মামলাটি কিছু দিন হয় আমার কাছে তদন্তের জন্য এসেছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আসামি সনাক্ত করা যায়নি। আমি ঘটনার ক্লু উদঘাটন ও প্রকৃত আসামি সনাক্ত করে অভিযোগপত্র দিতে কাজ করছি।

তিনি বলেন, আনন্দ হত্যার ঘটনায় তার মা ও ভাই বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন। দুটি অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে আমরা তদন্ত করছি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

তিন বছরেও জগন্নাথপুরের ব্যবসায়ী আনন্দ হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়নি, হতাশ স্বজনরা

আপডেট সময় : ০৫:১১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

আজ থেকে  তিন বছর আগে   সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের  তরুণ ব্যবসায়ী ও আলোকচিত্রি আনন্দ সরকার (২৪) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার  তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।  এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারও করতে পারেনি মামলার তদন্তকারী সংস্থা।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর এই দিনে তরুণ ব্যবসায়ীর তালাবদ্ধ দোকানঘর থেকে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন বছরে এ হত্যাকাণ্ডের  ক্লু উদঘাটন না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন নিহতের স্বজনরা।

নিহতের স্বজনরা জানান, ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর জগন্নাথপুর পৌর এলাকার সিএ মার্কেট এলাকায় নিজ স্টুডিওর ভেতর থেকে গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগ সিআইডি মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেন। ঘটনার পর পর আনন্দ সরকারের ভাই জীবন সরকার বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তার মা বাদী হয়ে আদালতে এ ঘটনায় পৃথক আরেকটি অভিযোগ দাখিল করেন।

আনন্দ সরকার নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বটতলা গ্রামের সুনিল সরকারের ছেলে। ২০১৭ সালে কাজের খুঁজে জগন্নাথপুর এসে সেখানে দেড় বছর একটি স্টুডিওতে দোকান কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। পরে নিজে স্টুডিও ব্যবসা শুরু করেন। রাতে ওই দোকানে রাত্রি যাপন করতেন। ঘটনার কয়েক দিন আগে একটি বেসরকারি এনজিও থেকে টাকা তুলে ক্যামেরা ক্রয় করেন।

এরপর তালাবদ্ধ দোকানের ভেতর থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। উপজেলা সদরে এমন নৃশংস হতাকাণ্ডের ঘটনা নাড়িয়ে দেয় উপজেলাবাসীকে। কেন এ হত্যাকা-, কারা এ নির্মম খুনের ঘটনায় জড়িত এসব নানা প্রশ্ন মানুষের মনে উঁকি দিলেও হত্যার রহস্য যেন হিমঘরে পড়ে আছে।

নিহত আনন্দ সরকারের ভাই জীবন সরকার জানান, দীর্ঘ তিন বছর অতিবাহিত হলেও আমার ভাই হত্যার কোন ক্লু উদঘাটন ও ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় আমরা হতাশ। আমরা দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগ সিআইডির পরিদর্শক ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, আনন্দ সরকার হত্যা মামলাটি কিছু দিন হয় আমার কাছে তদন্তের জন্য এসেছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আসামি সনাক্ত করা যায়নি। আমি ঘটনার ক্লু উদঘাটন ও প্রকৃত আসামি সনাক্ত করে অভিযোগপত্র দিতে কাজ করছি।

তিনি বলেন, আনন্দ হত্যার ঘটনায় তার মা ও ভাই বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন। দুটি অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে আমরা তদন্ত করছি