দক্ষিণ সুরমায় দাউপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় ব্যবসায়ী আহত, থানায় অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৪:০৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার দাউপুর ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় তুরুকখলা গ্রামের কামরুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলার সময় তার কাছে থেকে নগদ এক লক্ষ সাতাশি হাজার টাকা লুট করে নেয় হামলাকারীরা।
আহত কামরুল সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত অনুমান পৌণে ১০টায় চৌধুরী বাজারের সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের সামনে রাস্তার উপর।
এ ব্যাপারে আহত কামরুল ইসলামের চাচাতো ভাই সিলেট জেলার মোগলাবাজার থানার দাউদপুর ইউনিয়নের তুরুকখলা গ্রামের মোঃ আব্দুল মান্নান এর ছেলে আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার মোগলাবাজার থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। জিডি নং- ১২।
অভিযোগ নামায় সিলেট জেলার মোগলাবাজার থানার দাউদপুর ইউনিয়নের দাউদপুর গাংপার গ্রামের মৃত আব্দুল মফুর আলীর ছেলে আব্দুল মুকিত জাহাঙ্গীর (২৮), সুয়া মিয়া ছেলে রামিম (২৮), দাউদপুর কোনারপাড়া গ্রামের আলীর ছেলে জুমন আহমদ (২০), দাউপুর পূর্বপাড়ার মনাই মিয়ার ছেলে আলী (৩৮) সহ ২/৩ জন অজ্ঞাতনামাকে বিবাদী করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদী আমিরুল ইসলামের চাচাতো ভাই কামরুল ইসলাম (৩৬) এর চৌধুরী বাজারে এমএস ইন্টারনেট প্রাইভেট লিমিটেড নামক ব্রড ব্যান্ডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উক্ত বিবাদীরা বাদীর পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। বিবাদীগণ প্রায় সময় অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের নিয়ে বাদীরর গ্রামের যাতায়াতের রাস্তায় আড্ডা দেয় এবং গ্রামের নিরিহ ছেলে-মেয়েদের সাথে অশালিন আচরণ করে। তাদের অন্যায় আচরণে কেহ কোন প্রতিবাদ করলে বিবাদীরা তাকে মারপিট করে।
আহত কামরুল ইসলাম বিবাদীদের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করায় গত ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে কামরুল ইসলাম তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজ শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ীতে যাওয়ার পথে ৯ টা ৪৫ মিনেটের সময় চৌধুরী বাজারের সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের সামনে রাস্তার উপর পৌছামাত্র আব্দুল মুকিত জাহাঙ্গীর, রামিম, জুমন আহমদ, আলী সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন বিবাদীকে নিয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে মিলিত হয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কামারুলের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় তারা কামরুলকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।
এর প্রতিবাদ করলে বিবাদীরা প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে এলোপাতারিভাবে আঘাত শুরু করে। তাদের আঘাতে কামরুলের চোখে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম সহ সারা শরীরে নিলাফুলা জখম হয়ে গুরুতর আহত হন। হামলার সময় কামারুলের প্যান্টের পকেটে থাকা ব্যবসার নগদ ১,৮৭,০০০/- (এক লক্ষ সাতাশি হাজার) টাকা বিবাদী আব্দুল মুকিত জাহাঙ্গীর লুট করে নেয়। এছাড়াও বিবাদীদের লোহার রডের আঘাতে কামরুলের মোটর সাইকেলের টেংকি সহ বিভিন্ন অংশ ভাংচুর করে প্রায় ২০,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করেছে।
হামলার সময় আহত কামরুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজন কামরুলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া আসেন এবং বাদীকে খবর দেন।
খবর পেয়ে বাদী আমিরুল ইসলাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্মরত ডাক্তার কামরুলের অবস্থা বেগতি দেখে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে হাসপাতালের ৪র্থ তলার ০৭নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। বর্তমানে কামরুল ইসলাম হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
আমিরুল ইসলাম তার চাচতো ভাই কামরুল ইসলামের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন।