ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের কোনভাবে ছাড় দেয়া হবে না
- আপডেট সময় : ০৪:৪১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১ ৫১ বার পড়া হয়েছে
সিলেট-৩ আসনের এমপি, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। স্মরণাতীত কাল থেকে আমাদের সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিদ্যমান। এর ধারাবাহিকতা আমাদের বজায় রাখতে হবে। সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। এখানে সকল ধর্মের মানুষের বসবাস। সে সুবাদে প্রত্যেকে তার নিজ ধর্ম নির্বিঘেœ পালন করার অধিকার রাখে। কেউ যদি কোনভাবে গুজব রটিয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালায়, তবে দেশপ্রেমিক শক্তিকে এদের প্রতিহত করতে হবে। পবিত্র ইসলাম ধর্মেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার সুষ্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে।
আমাদের মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তাই দেশের সংবিধানের দিক নির্দেশনা এবং ধর্মীয় বিধিনিষেধ অনুযায়ী আমাদের নিরবচ্ছিন্ন ধর্মচর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। আমার নির্বাচনী এলাকা সিলেট-৩ আসনকে ধর্মীয় সম্প্রীতির একটি আদর্শ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে আমি সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
এমপি হাবিব গত (২৯ অক্টোবর) শুক্রবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বালাগঞ্জ উপজেলার সকল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজিনা আক্তারের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নয়ন তালুকদারের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট ছালেহ আহমদ হীরা, উপ-প্রচার
সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন সামস্ধসঢ়;, থানার ওসি নাজমুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মতিন ও উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি ডা. পবিত্র রঞ্জন বণিক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার সাব্বির আহমদ, ইমাম মাওলানা জিল্লুর রহমান, শিক্ষক প্রদীপ রঞ্জন দাস, সিলশ্রী অরগ
ব্রম্মচারী, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সাংবাদিক রজত কান্তি ভ‚লন, রেহান আহমদ প্রমুখ। সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক, বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।