ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নওগাঁর মান্দায় মিষ্টি আলুর গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের দিয়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন নওগাঁয় পাগলা শিয়ালের আক্রমন ও কামড়ে ৩ নারীসহ ৫ জন আহত কাজ না করে সরকারি টাকা লোপাট” এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে পথ সভা মান্দায় মণ্ডপে মণ্ডপে নগদ অর্থ উপহার দিলেন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা, ইকরামুল বারী টিপু নওগাঁ মান্দা একরুখী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দেখার মত মনে হয় কেহ নাই ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে এনায়েতপুরে বিক্ষোভ মিছিল দি সিলেট ইসলামিক সোসাইটিরপঞ্চম শ্রেণি মেধাবৃত্তি প্রদান সম্পন্ন নর্থইস্ট নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদেরআন্দোলন, কলেজ বন্ধ ঘোষণা জগন্নাথপুরে আফজল হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি অনিশ্চিত

প্রতিনিধির নামঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:১৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়ায় টানা ১১ দিন ধরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় বিভিন্ন বেসরকারী পার্কিং ও সড়কে প্রায় শতাধিক পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক এখনও দাঁড়িয়ে আছে। দ্রুত এসব ট্রাক ছাড় করাতে না পারলে আবারও নতুন করে ক্ষতির শিকার হবেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে বাংলাদেশি আমদানি কারকেরা তাদের ভারতীয় রফতানিকারক প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ে পুরানো এলসির আটকে পড়া পেঁয়াজ ছাড় করাতে বার বার আবেদন জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি। ফলে দেশে পেঁয়াজ আমদানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বেনাপোল বন্দরের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ সংকট দেখা দেওয়ায় দাম আবারও বেড়ে চলেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পাইকারী বাজারে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা আর খুচরা বাজারে তা ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ অর্ধেক নষ্ট হওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।

পেঁয়াজ আমদানি কারক শেখ ট্রেডার্সের শেখ মাহাবুব বলেন, ‘প্রতিবছর পেঁয়াজ নিয়ে লংঙ্কা কান্ড হয়। ভারত কখনো উৎপাদন সংকট আবার কখনো রফতানি মুল্য তিন গুন বাড়িয়ে আমদানি বন্ধ করতে বাধ্য করে।’ এক্ষেত্রে সংকট মোকাবেলায় ভারত ছাড়াও বাইরের কিছু দেশের সাথে বাণিজ্যিক সর্ম্পক জোরদার করতে তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি মহাসিন মিলন বলেন, ‘ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ে পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে এপথে আমদানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

পেঁয়াজ আমদানি কারক রফিকুল ইসলাম রয়েল, ‘বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ওপারের বিভিন্ন পার্কিংয়ে হেফাজতে তাদের প্রায় শতাধিক ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক ট্রাকের পেয়াঁজে পচন ধরেছে। নিষেধাজ্ঞার আগেই এসব ট্রাক বন্দর এলাকায় পৌঁছেছিল। দ্রুত এসব ট্রাক না ছাড়লে নতুন করে আবারো লোকশানে পড়তে হবে।’

বেনাপোল বন্দরের পাইকারী পেঁয়াজ বিক্রেতা শুকর আলী বলেন, ‘ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি কম। আর যা আসছে তা অর্ধেক বস্তা পচা পাওয়া যাচ্ছে। এতে বাজারে দাম কমছে না। বাইরে থেকে আমদানি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাজার অস্থিতিশীল থাকবে বলে মনে হচ্ছে।’

বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ‘কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া সংকট দেখিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এপর্যন্ত কোনো পেঁয়াজের ট্রাক আসার অনুমতি দেয়নি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। দিবে কিনা তাও নিশ্চিত জানাতে পারেনি। তবে এই পথে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে অনান্য পণ্যের আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক আছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি অনিশ্চিত

আপডেট সময় : ০৮:১৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়ায় টানা ১১ দিন ধরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় বিভিন্ন বেসরকারী পার্কিং ও সড়কে প্রায় শতাধিক পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক এখনও দাঁড়িয়ে আছে। দ্রুত এসব ট্রাক ছাড় করাতে না পারলে আবারও নতুন করে ক্ষতির শিকার হবেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে বাংলাদেশি আমদানি কারকেরা তাদের ভারতীয় রফতানিকারক প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ে পুরানো এলসির আটকে পড়া পেঁয়াজ ছাড় করাতে বার বার আবেদন জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি। ফলে দেশে পেঁয়াজ আমদানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বেনাপোল বন্দরের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ সংকট দেখা দেওয়ায় দাম আবারও বেড়ে চলেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পাইকারী বাজারে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা আর খুচরা বাজারে তা ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ অর্ধেক নষ্ট হওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।

পেঁয়াজ আমদানি কারক শেখ ট্রেডার্সের শেখ মাহাবুব বলেন, ‘প্রতিবছর পেঁয়াজ নিয়ে লংঙ্কা কান্ড হয়। ভারত কখনো উৎপাদন সংকট আবার কখনো রফতানি মুল্য তিন গুন বাড়িয়ে আমদানি বন্ধ করতে বাধ্য করে।’ এক্ষেত্রে সংকট মোকাবেলায় ভারত ছাড়াও বাইরের কিছু দেশের সাথে বাণিজ্যিক সর্ম্পক জোরদার করতে তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি মহাসিন মিলন বলেন, ‘ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ে পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে এপথে আমদানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

পেঁয়াজ আমদানি কারক রফিকুল ইসলাম রয়েল, ‘বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ওপারের বিভিন্ন পার্কিংয়ে হেফাজতে তাদের প্রায় শতাধিক ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক ট্রাকের পেয়াঁজে পচন ধরেছে। নিষেধাজ্ঞার আগেই এসব ট্রাক বন্দর এলাকায় পৌঁছেছিল। দ্রুত এসব ট্রাক না ছাড়লে নতুন করে আবারো লোকশানে পড়তে হবে।’

বেনাপোল বন্দরের পাইকারী পেঁয়াজ বিক্রেতা শুকর আলী বলেন, ‘ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি কম। আর যা আসছে তা অর্ধেক বস্তা পচা পাওয়া যাচ্ছে। এতে বাজারে দাম কমছে না। বাইরে থেকে আমদানি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাজার অস্থিতিশীল থাকবে বলে মনে হচ্ছে।’

বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ‘কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া সংকট দেখিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এপর্যন্ত কোনো পেঁয়াজের ট্রাক আসার অনুমতি দেয়নি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। দিবে কিনা তাও নিশ্চিত জানাতে পারেনি। তবে এই পথে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে অনান্য পণ্যের আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক আছে।