জগন্নাথপুরে বিয়ের প্রলোভনে যুবতীকে ধর্ষন, আদালতে মামলা দায়ের
- আপডেট সময় : ১২:১৫:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মজিদপুর গ্রামে বিয়ের প্রলোভনে এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া তার তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে অভিযুক্ত অজয় বৈদ্য।
এই ব্যাপারে ধর্ষিতা প্রীতি বৈদ্য (ছদ্মনাম) চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল অজয় বৈদ্যসহ তিন জনকে আসামী করে নারী শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৮১/২৪। মামলার প্রধান আগসামী অজয় বৈদ্য জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মজিদপুর গ্রামের অরুন বৈদ্যের ছেলে।
মামলার অভিযোগে বাদিনী উল্লেখ করেন, আসামি দের বাড়ি ও তার বাড়ি একই গ্রামে। আসামি অজয় বৈদ্য বাদিনীকে দৈহিক মেলামেশা করার প্রস্তাব দিয়া আসিতে থাকিলে এতে বাদিনী রাজী না হওয়ায় আসামী অজয় বৈদ্য বাদিনীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং দৈহিক মেলামেশা করিয়া আসিতে থাকে। অজয় এক পর্যায় প্রীতির নিকট ৩ লক্ষ টাকা দাবী করিয়া বলে তিন লক্ষ টাকা দিলে সে প্রীতিকে বিবাহ করিবে। সরল বিশ্বাসে প্রীতি আসামী অজয়কে বিভিন্ন কিস্তিতে ৩ লক্ষ টাকা দেয়। টাকা পাওয়ার পর অজয় প্রীতিকে বিবাহ না করে বিভিন্ন অজুহাতে সময় কর্তন করিতে থাকে। প্রীতি অজয়কে বিবাহ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সে ১শত টাকার একখানা ও ৫০টাকা মূল্যের একখানা নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে বিবাহ করার ও ৩ লক্ষ টাকা গ্রহনের অঙ্গিকার নামা প্রদান করে। এর পর ও অজয় বিবাহ না করিয়া ভিকটিমের সাথে দৈহিক মেলামেশা করতে চাইলে প্রীতি রাজী না হওয়ায় আসামী অজয় আক্রোশান্বিত থাকে।
মামলায় আরো উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১০ মার্চ সন্ধ্যা ভিকটিমের বাড়িতে কোন লোক না থাকার সুযোগে অজয় বৈদ্য ভিকটিমের বসত ঘরে প্রবেশ করিয়া জোরপূর্বক ধর্ষন করে। আসামীদের বাড়িতে গিয়া উক্ত ঘটনার বিষয়ে বিচার প্রার্থী হইলে আসাসী অরুন বৈদ্য ও বিজয় বৈদ্য ভিকটিমকে খুন করার হুমকি দেয় এবং পরিবারসহ তাকে গ্রাম ছাড়া করবে বলে বাড়ি থেকে তাড়াইয়া দেয়। ভিকটিমের পিতা জানান, আমরা গরীব মানুষ এই ঘটনার পর অজয় বৈদ্যের পরিবারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিগনের দ্বারস্থ হয়ে আসামীদের অসযোগিতায় কোন বিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে আমার মেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে।