ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নওগাঁর মান্দায় মিষ্টি আলুর গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের দিয়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন নওগাঁয় পাগলা শিয়ালের আক্রমন ও কামড়ে ৩ নারীসহ ৫ জন আহত কাজ না করে সরকারি টাকা লোপাট” এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে পথ সভা মান্দায় মণ্ডপে মণ্ডপে নগদ অর্থ উপহার দিলেন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা, ইকরামুল বারী টিপু নওগাঁ মান্দা একরুখী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দেখার মত মনে হয় কেহ নাই ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে এনায়েতপুরে বিক্ষোভ মিছিল দি সিলেট ইসলামিক সোসাইটিরপঞ্চম শ্রেণি মেধাবৃত্তি প্রদান সম্পন্ন নর্থইস্ট নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদেরআন্দোলন, কলেজ বন্ধ ঘোষণা জগন্নাথপুরে আফজল হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

সিলেটে পুলিশের ‘নির্যাতনে’ যুবকের মৃত্যু, গণপিটুনি বলে প্রচার

প্রতিনিধির নামঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:২৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০ ৮১ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেটে পুলিশের নির্যাতনে এক যুবক নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার ভোরে রায়হান উদ্দিন (৩৩) নামের ওই যুবক মারা যান। তিনি নগরের নগরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যা করেছে। ভোরে সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে রায়হানের পরিবারের কাছে ফোন করে টাকা দাবি করা হয়েছিলো বলেও অভিযোগ তাদের।

এদিকে, রায়হান হত্যার প্রতিবাদে রোববার বিকেলে নগরীর আখালিয়া এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এলাকাবাসীরও অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে খুন হয়েছেন রায়হান।

মহানগর পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) এই তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন।

রায়হান উদ্দিনের বাবা নেই। বাবার মৃত্যুর তার মাকে বিয়ে করেন চাচা হাবিবুল্লাহ। তবে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে রায়হান থাকেন আলাদা বাসায়। দুই মাস বয়সী এক মেয়ে রয়েছে তার।

রায়হানের পরিবারের সদস্যরা জানান, নগরের মিরের ময়দান এলাকায় শাহজালাল ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে এক চিকিৎসকের সহকারি হিসেবে কাজ করতেন রায়হান। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত ১০টার দিকে তিনি অফিস শেষে বাসায় ফেরেন। খাওয়া দাওয়ার পর ১১টার দিকে বাসার সামনের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করতে বের হন। এরপর তিনি আর বাসায় ফেরেননি তিনি।
রায়হান উদ্দিনের চাচা হাবিবুল্লাহ বলেন, রোববার ভোর ৪টার দিকে একটি অপরিচিত নাম্বার (০১৭৮৩৫৬১১১১) থেকে আমাকে ফোন দেওয়া হয়। ফোন ধরার পর কথা বলে রায়হান। সে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলতে থাকে ‘আমারে বাঁচাওরেবা। আমারে বাঁচাও।’ এরপর আমি তার অবস্থান জানতে চাইলে সে জানায়, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আছে। এসময় ফাঁড়িতে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে বলে রায়হান।হাবিবুল্লাহ বলেন, ফোন পেয়ে সাথেসাথেই আমি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যাই। তখন সেখানে অবস্থানরত একজন বলেন, সে (রায়হান) ঘুমিয়ে পড়েছে। এখন দেখা করা যাবে না।

এরপর পাশ্ববর্তী কুদরতউল্লাহ মসজিদে নামাজ আদায় করে সকালে আবার পুলিশ ফাঁড়িতে যান উল্লেখ করে হাবিবুল্লাহ বলেন, ফাঁড়িতে যাওয়ার পর একজন লোক আমাকে বলেন, ‘আপনি ১০ হাজার টাকা নিয়ে আসার কথাছিলো। টাকা এনেছেন?’ কিছু টাকা এনেছি জানানোর পর তারা আমাকে বসিয়ে রাখেন। এরপর ১০টার দিকে বলেন, ‘আপনার ছেলের শরীর খারাপ করেছিলো। তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওসমানী হাসপাতাল গিয়ে তাকে দেখতে পারবেন।’

হাবিবুল্লাহ বলেন, এরপর আমি ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পারি হিমঘরে রায়হানের লাশ পড়ে আছে। পুলিশই নির্যাতন করে রায়হানকে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ তার।

ওসমানী হাসপাতালের নিবন্ধন শাখা সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রায়হানের মরদেহ ওসমানী হাসপাতালে আনা হয়।

এ ব্যাপারে ভোরে হাবিবুল্লাহকে কল দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি।

বন্দরবাজার ফাঁড়ি নগরের কোতোয়ালি মডেল থানার অধীনে। এই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিঞা ছুটিতে আছেন। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, ভোরে কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে আহত হন রায়হান। যিনি একাধিক ছিনতাই মামলার আসামি। পুলিশ তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন

কাষ্টঘরের কোন জায়গা থেকে রায়হানকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং কারা উদ্ধার অভিযানে ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম)-এর সাথে কথা বলুন।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার বলেন, পরিবারের অভিযোগটি আমরাও শুনেছি। পুরো বিষয়টি উপ কমিশনার (উত্তর)-এর নেতৃত্বে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আসলে কোন জায়গা থেকে কারা রায়হানকে উদ্ধার করেছে তাও তদন্তে বের হয়ে আসবে।

কাষ্টঘর এলাকার এক আইনজীবী বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পাই কাষ্টঘর পূজামণ্ডপের পাশে আমার বাসার সামনে অনেক পুলিশ। তখন পুলিশ জানায়, এই এলাকায় গণপিটুনিতে একজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু আমরা কেউই গণপিটুনির বিষয়টি টের পাইনি।

কাষ্টঘর এলাকা নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম  বলেন, আমি এলাকার অনেকের সাথে কথা বলেছি। কেউই গণপিটুনির বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন। ভোরের দিকে এমন কিছু তারা শুনেননি বলেও জানিয়েছেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ  বলেন, পুলিশ ফাঁড়ি থেকে রায়হানের পরিবারকে ফোন দেওয়া ও টাকা দাবি করার অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্তে নেমেছি। এই ঘটনার পেছনে পুলিশের কেউ দায়ী থাকলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সিলেটে পুলিশের ‘নির্যাতনে’ যুবকের মৃত্যু, গণপিটুনি বলে প্রচার

আপডেট সময় : ০৬:২৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

সিলেটে পুলিশের নির্যাতনে এক যুবক নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার ভোরে রায়হান উদ্দিন (৩৩) নামের ওই যুবক মারা যান। তিনি নগরের নগরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যা করেছে। ভোরে সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে রায়হানের পরিবারের কাছে ফোন করে টাকা দাবি করা হয়েছিলো বলেও অভিযোগ তাদের।

এদিকে, রায়হান হত্যার প্রতিবাদে রোববার বিকেলে নগরীর আখালিয়া এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এলাকাবাসীরও অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে খুন হয়েছেন রায়হান।

মহানগর পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) এই তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন।

রায়হান উদ্দিনের বাবা নেই। বাবার মৃত্যুর তার মাকে বিয়ে করেন চাচা হাবিবুল্লাহ। তবে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে রায়হান থাকেন আলাদা বাসায়। দুই মাস বয়সী এক মেয়ে রয়েছে তার।

রায়হানের পরিবারের সদস্যরা জানান, নগরের মিরের ময়দান এলাকায় শাহজালাল ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে এক চিকিৎসকের সহকারি হিসেবে কাজ করতেন রায়হান। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত ১০টার দিকে তিনি অফিস শেষে বাসায় ফেরেন। খাওয়া দাওয়ার পর ১১টার দিকে বাসার সামনের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করতে বের হন। এরপর তিনি আর বাসায় ফেরেননি তিনি।
রায়হান উদ্দিনের চাচা হাবিবুল্লাহ বলেন, রোববার ভোর ৪টার দিকে একটি অপরিচিত নাম্বার (০১৭৮৩৫৬১১১১) থেকে আমাকে ফোন দেওয়া হয়। ফোন ধরার পর কথা বলে রায়হান। সে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলতে থাকে ‘আমারে বাঁচাওরেবা। আমারে বাঁচাও।’ এরপর আমি তার অবস্থান জানতে চাইলে সে জানায়, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আছে। এসময় ফাঁড়িতে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে বলে রায়হান।হাবিবুল্লাহ বলেন, ফোন পেয়ে সাথেসাথেই আমি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যাই। তখন সেখানে অবস্থানরত একজন বলেন, সে (রায়হান) ঘুমিয়ে পড়েছে। এখন দেখা করা যাবে না।

এরপর পাশ্ববর্তী কুদরতউল্লাহ মসজিদে নামাজ আদায় করে সকালে আবার পুলিশ ফাঁড়িতে যান উল্লেখ করে হাবিবুল্লাহ বলেন, ফাঁড়িতে যাওয়ার পর একজন লোক আমাকে বলেন, ‘আপনি ১০ হাজার টাকা নিয়ে আসার কথাছিলো। টাকা এনেছেন?’ কিছু টাকা এনেছি জানানোর পর তারা আমাকে বসিয়ে রাখেন। এরপর ১০টার দিকে বলেন, ‘আপনার ছেলের শরীর খারাপ করেছিলো। তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওসমানী হাসপাতাল গিয়ে তাকে দেখতে পারবেন।’

হাবিবুল্লাহ বলেন, এরপর আমি ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পারি হিমঘরে রায়হানের লাশ পড়ে আছে। পুলিশই নির্যাতন করে রায়হানকে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ তার।

ওসমানী হাসপাতালের নিবন্ধন শাখা সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রায়হানের মরদেহ ওসমানী হাসপাতালে আনা হয়।

এ ব্যাপারে ভোরে হাবিবুল্লাহকে কল দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি।

বন্দরবাজার ফাঁড়ি নগরের কোতোয়ালি মডেল থানার অধীনে। এই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিঞা ছুটিতে আছেন। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, ভোরে কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে আহত হন রায়হান। যিনি একাধিক ছিনতাই মামলার আসামি। পুলিশ তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন

কাষ্টঘরের কোন জায়গা থেকে রায়হানকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং কারা উদ্ধার অভিযানে ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম)-এর সাথে কথা বলুন।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার বলেন, পরিবারের অভিযোগটি আমরাও শুনেছি। পুরো বিষয়টি উপ কমিশনার (উত্তর)-এর নেতৃত্বে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আসলে কোন জায়গা থেকে কারা রায়হানকে উদ্ধার করেছে তাও তদন্তে বের হয়ে আসবে।

কাষ্টঘর এলাকার এক আইনজীবী বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পাই কাষ্টঘর পূজামণ্ডপের পাশে আমার বাসার সামনে অনেক পুলিশ। তখন পুলিশ জানায়, এই এলাকায় গণপিটুনিতে একজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু আমরা কেউই গণপিটুনির বিষয়টি টের পাইনি।

কাষ্টঘর এলাকা নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম  বলেন, আমি এলাকার অনেকের সাথে কথা বলেছি। কেউই গণপিটুনির বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন। ভোরের দিকে এমন কিছু তারা শুনেননি বলেও জানিয়েছেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ  বলেন, পুলিশ ফাঁড়ি থেকে রায়হানের পরিবারকে ফোন দেওয়া ও টাকা দাবি করার অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্তে নেমেছি। এই ঘটনার পেছনে পুলিশের কেউ দায়ী থাকলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।