সিলেট মহানগর ব্যাটারি চালিত রিক্সা/ইজিবাইক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ

- আপডেট সময় : ০৫:১৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে
ব্যাটারি চালিত রিক্সা/ রেকার বিল ৫০০ টাকা করা, ইস্পার্টে জরিমানা করা ও শ্রমিকের রেশনয়ের আওতায় আনা দাবীতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসক সিলেট বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সিলেট মহানগর ব্যাটারি চালিত রিক্সা/ইজিবাইক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান করা হয় উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা ইদ্রিস আলী, জালাল উদ্দিন, নূর মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান, আব্দুল মালিক, মোবারক আলী, আনোয়ার হোসেন, আনাই, সংগ্রাম মিয়া, জয়নাল আবদিন প্রমুখ।
এ সময় সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, অবিলম্বে রমজান মাসে গাড়ি ধরা বন্ধ রাখা, ৫০০ টাকা ফাইল স্লিপ কর এবং অবিলম্বে স্পটে জরিমানা করে গাড়ি ছেড়ে দিতে হবে। বৈধভাবে গাড়ি চলার জন্য সিটি কর্পোরেশন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এভাবে চলা যায় না পুলিশদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। দেশের ৬৪ জেলার ৬৩ জেলায় ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলতেছে, সিলেট কেন চলবে না। সিলেটের জন্য আইন আলাদা হতে পারে না। নাম্বার প্লেট দিলে স্বল্প আয়ের মানুষ উপকৃত হবে, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা স্বল্প সময় গন্তব্য স্থানে পৌঁছতে পারবে। তাই এই ন্যায্য দাবি অবিলম্বে মেনে নিন জোর দাবী জানান।
হযরত শাহজালাল ও শাহপরান (র:) সহ ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেট নগরীতে সিলেট মহানগর ব্যাটারি চালিত রিক্সা/ ইজিবাইক মালিক ও শ্রমিকরা অনেক দিন ধরে সরকারের কাছে বৈধভাবে নম্বর প্লেট দিয়ে রিক্সা চলাচলের জন্য দাবি করে আসছে। ব্যাটারি চালিত রিক্সা/ ইজিবাইক মালিক-শ্রমিকগণ বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ ও কিস্তিতে ব্যাটারি চালিত রিক্সা ক্রয় করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। নগরীতে প্রায় ১৫/২০ হাজার মানুষের আয়ের উৎস ব্যাটারি চালিত রিক্সা। তাই নগরীতে বৈধ ভাবে নাম্বার প্লেট দিয়ে ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচলে দাবী জানিয়ে আসছেন শ্রমিক-মালিক নেতৃবৃন্দ। কিন্তু বৈধতা না দিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। ব্যাটারি চালিত রিক্সা বন্ধ করে দিলে কয়েক হাজার শ্রমিক বেকর হয়ে যাবে। বেকার হওয়া শ্রমিকগণ বিভিন্ন অপরাধজনক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। ব্যাটারি চালিত রিক্সা বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় চলাচল করলেও সিলেট নগরীতে কেন চলাচল করতে পারবেনা, এটা অনৈতিক।
রমজান মাসে মানুষের কল্যাণের জন্য সহযোগিতা করা দরকার। মাহে রমজানের দ্রব্য মূল্য উর্ধ্বগতির সময় রিক্সা ধরা অব্যাহত থাকলে মানুষগুলো বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করবে। দরিদ্র মানুষ গুলি বেকার হয়ে গেলে তারা অপরাধজনক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাধীনতার ৫৫ বছর হলেও অর্জিত রিক্সা চালকরা মানুষ হয়ে মানুষ টানে বর্তমান আধুনিক যুগে ব্যাটারি লাগিয়ে চলাচলের উন্নয়ন অংশ হিসেবে ধরে নিতে পারি। বিভিন্ন পেশায় উন্নয়ন হলেও রিক্সা চালকদের উন্নয়নের কোনো ছোয়া লাগেনি ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচলের অনুমতি দিলে স্বল্প আয়ের মানুষ গুলো উপকৃত হবে। তাই ব্যাটারি চালিত রিক্সা ধরা বন্ধ করতে হবে।
ব্যাটারী চালিত রিক্সা চলাচলের অনুমতি দিলে বয়বৃদ্ধ রিক্সা শ্রমিকগণ সহ স্বল্প আয়ের মানুষ উপকৃত হবে। সারা দেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ব্যাটারী চালিত রিক্সার সাথে জড়িত। তাই মানবিক ও সর্বদিক বিবেচনা করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় স্থায়ীভাবে ব্যাটারি চালিত রিক্সা/ ইজিবাইক চালানোর অনুমতি প্রদান করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া অনুরোধ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি