মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের পবিত্র আশুরা আজ
- আপডেট সময় : ০৬:৫১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২০ ১১০ বার পড়া হয়েছে
আজ পবিত্র আশুরা। কারবালার শোকাবহ ঘটনাবহুল এ দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয় মুসলিম বিশ্বে। বাংলাদেশেও দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় ও সংক্ষিপ্ত কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালিত হবে। এ উপলক্ষে রোববার সরকারি ছুটির দিন। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেইন (রা.) এবং তার পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন।
এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্ব মুসলিম যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সকলকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা যোগায়।
বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে এ উপলক্ষে সিলেট-ঢাকাসহ দেশব্যাপী সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে রাজধানীতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। পবিত্র আশুরা উদযাপন উপলক্ষে সব ধরণের তাজিয়া, শোক ও পাইক মিছিল নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ প্রশাসন।
গত বুধবার ডিএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপি আশুরা উপলক্ষে সব ধরণের তাজিয়া, শোক ও পাইক মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তবে ধর্মপ্রাণ নগরবাসী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইমাম বাড়াসমূহে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারবেন। এসব অনুষ্ঠান স্থলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি বহন এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।