সামনের সপ্তাহেই এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত……শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
- আপডেট সময় : ০৭:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০ ৭৩ বার পড়া হয়েছে
আগামী সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পরিপূর্ণ পরিকল্পনাসহ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারবো। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার আগে চার সপ্তাহ সময় পাবেন বলে জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি আরো জানান, এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। তাই বাড়ানো হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। বুধবার শিক্ষাবিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিরাট সংখ্যক পরীক্ষার্থী এবং তাদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকরা, শিক্ষকরা এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে আমরা এখনোই কোনো সিদ্ধান্তে যেতে পারছি না। অনেক শিক্ষার্থী বলেছেন, তারা পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন চায়, এটা একটা বিষয় হতে পারে। আমরা পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন করার বিষয়টি নিয়েও ভাবছি।
তাছাড়া দু’বছর পর যখন এখনকার শিক্ষার্থী চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাবেন তখন তো কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন ‘ও তুমি ২০২০ সালের পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষার্থী।’ তাই এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী সপ্তাহের সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে এইচএসসি’র বিষয়ে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত জানাতে পারবো। আমরা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর আগে অন্তত চার সপ্তাহ সময় দেবো। আমরা অনেকগুলো অপশন নিয়ে ভাবছি। এইচএসসি’র সিলেবাস কমানোর কোনো বিষয় নেই। যেহেতু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই সব সিলেবাস আমরা শেষ করতে পেরেছিলাম। তবে, কবে পরীক্ষা নেয়া যাবে, তা এখন বলা সম্ভব না। পরীক্ষাগুলো কীভাবে নেয়া হবে, কত নম্বরের হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি। তাই বাড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। ডা. দীপু মনি বলেন, টিউশন ফি বরাবরই আলোচনা হয়, বিশেষ করে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল ও অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যালয়ের বিষয়ে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব বেতন আমরা চাইলেই কমিয়ে দিতে পারবো না। তাদের অনেক খরচ আছে। অনেকে লোন নিয়েও ভবন নির্মাণ করেছেন। আমরা বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি। তারা বেশির ভাগই বলেছেন, তারা অভিভাবকের অবস্থা বুঝে সমঝোতা করতে রাজি আছেন। এমপিও নতুন করে হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা বিষয়টিকে একটু আধুনিকায়ন করতে চাই। আমরা বিভিন্ন জায়গার স্কুলগুলো কয়েকটা ভাগে ভাগ করে জেলা, উপজেলা, গ্রাম পর্যায়ে ভাগ করে চূড়ান্ত করেছি। আশা করছি, অক্টোবরের পর আমরা নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এমপিও আবেদন চাইতে পারবো। করোনাকালে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, পরীক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন মূল্যায়ন কীভাবে আরো বেশি প্রসার করা যায়, তা নিয়ে অনেক কাজ করা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে এত দীর্ঘ বৈঠক হয় না। তবে অনলাইনের মাধ্যমে আমরা অনেক সুফল পেয়েছি
সুত্র: মানবজমিন