বড়লেখায় সিএনজি চালকের সহযোগিতায় তরুণী ‘ধর্ষণ’
- আপডেট সময় : ০৬:৪১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকের সহযোগিতায় তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আতুয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় তরুণী বাদী হয়ে বড়লেখা থানায় ধর্ষণ ও সহযোগিতার অভিযোগে ২জনের নামে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যায় শাহবাজপুর বাজারের পাহারাদার ও এক সিএনজি চালককে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের বাদেপুকুরিয়া গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৫) ও উপজেলার চুকারপুঞ্জি গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে আলী আহমদ (১৮)।
শনিবার (১০ অক্টোবর) সকালে ঘটনার শিকার ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণী ছোটবেলা থেকে নানা বাড়িতে বসবাস করেন। বৃহস্পতিবার তিনি খালার বাড়ি বেড়াতে যান। বৃহস্পতিবার রাতেই নানা বাড়ি থেকে খবর আসে নানা অসুস্থ। নানা অসুস্থের খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে খালার বাড়ি থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন। শাহবাজপুর বাজারে আসার পর তরুণীর খালাতো ভাই সিএনজি চালক আলী আহমদের গাড়িতে তুলে দেন। পথে সিএনজি চালক আলী শাহবাজপুর বাজারের পাহারাদার দেলোয়ারকে উঠান। একপর্যায়ে গাড়িতে দেলোয়ার তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ অবস্থায় তরুণী গাড়ি থেকে নামার চেষ্টা করলে সিএনজি চালকের সহযোগিতায় দেলোয়ার জোর করে তাকে আতুয়া এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে যান। পরে সেখানে দেলোয়ার তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় স্থানীয় ইসলামপুর এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেলে লোকজন আসলে তরুণীকে রেখে দুজন পালিয়ে যায়। নানা বাড়ি না যাওয়ায় তাকে খুঁজতে গিয়ে খালাতো ভাই ও স্থানীয় লোকজন আতুয়া এলাকায় পেয়ে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় দুপুরে ধর্ষক দেলোয়ার ও সহযোগিতার অভিযোগে আলীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন তরুণী। মামলার প্রেক্ষিতে শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পুলিশ পরিদর্শক) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যায় পৃথকস্থান থেকে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে।