অবিলম্বে কাদিয়ানিদেরকে কাফের ঘোষণা করতে হবে: চার দফা প্রস্তাব
- আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক মজলিশে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষক আল্লামা মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সা: শেষ নবী; কিয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবীর আগমন হবে না এটাই মুসলমানদের ঈমান। খতমে নবুয়ত আকিদা যারা স্বীকার করে না তারা মুসলমান নয়। ব্রিটিশ বেনিয়ারা মির্জা গোলাম আহমদকে দিয়ে মিথ্যা নবুয়তের দাবি করিয়ে খতমে নবুওয়ত আকিদাকে চ্যালেঞ্জ করে কাদিয়ানি মতবাদের জন্ম দিয়েছে। এরা ভণ্ডনবীর অনুসারী। তাই কাদিয়ানিরা কাফের, তাদেরকে যারা সহযোগিতা করবে, স্বীকৃতি দেবে তারাও কাফের। গতকাল খিলগাঁও জাগরণী মাঠে আন্তর্জাতিক মজলিশে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত ঢাকা মহানগর খিলগাও জোনের উদ্যোগে আয়োজিত খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলন প্রধান অথিতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের সভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। কাদিয়ানীরা এদেশে থাকতে পারে, কিন্তু মুসলমান পরিচয়ে নয়। হিন্দু-খৃস্টান-বৈদ্ধরা যেমন এদেশে সংখ্যালঘু অমুসলিম পরিচয়ে বসবাস করছে, কাদিয়ানীরাও তেমন অমুসলিম পরিচয়ে থাকতে পারে। তাদের ধর্মপরিচয় হবে, তারা কাদিয়ানী। মুসলিম নাম নিয়ে তাদের থাকতে দেয়া হবে না। তাদের উপাসনালয়গুলোকে মসজিদ পরিচয় দেয়া যাবে না। তাদেরকে মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না। ইসলামের নামে রচিত তাদের সকল ধর্মগ্রন্থ নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের ছাপানো কুরআন বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
মাওলানা শিব্বির আহমদ ও হাফেজ মাওলানা ইউনুছ ঢালীর সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা করেন, খতমে নবুওয়তের মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম চরমোনাই, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, হাটহাজারী মাূরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আহমদ দিদার কাসেমী, মাওলানা সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী পীর সাহেব ছরছীনা, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, লন্ডনের মাওলানা শোয়াইব আহমদ, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী, মুফতি আবদুল্লাহ ইয়াহিয়া, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা আশেকুল্লাহ, আবদুল খালেক শরীয়তপুরী, মাওলানা রাশেদ বিন নুর। হাফেজ খালেদ বিন নুর ও হাফেজ সাঈদ খতমে নবুওয়ত তারানা পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে পরিচলনায় ছিলেন, মাওলানা আল আমিন ও মাওলানা সুলতান আহমদ জাফরী। খতমে নবুওয়তের মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, দেশে নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে বললে তার শাস্তির আইন আছ, নবী মর্যাদা সবচেয়ে বেশি তাই নবীর অবমাননা ও খতমে নবুওয়ত অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে আইন পাস করতে হবে।
কর্মসূচি