সুনামগঞ্জের শাল্লায় ঘুমন্ত সন্তানের ‘গলায় দা ধরে’ মাকে ধর্ষণের চেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৫:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে হিমাদ্রী দাস (৪০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। তবে ঘটনার চার দিন পরেও গ্রেপ্তার হননি আসামি।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একই গ্রামের হিমাদ্রী দাস হিমু (৪০) ওই নারীর ভাঙাচোরা বসতঘরের পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে পড়েন। এরপর ঘুমন্ত ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ওই দিন সরস্বতীপূজার রাত হওয়ায় ঘরের পাশে পূজামণ্ডপের সাউন্ড বক্সে গান বাজছিল। ফলে ওই নারী চিৎকার করলেও কেউ শুনতে পাননি।
এ সময় হিমাদ্রী রান্নাঘর থেকে দা হাতে নিয়ে ওই নারীর ৫ বছরের ঘুমন্ত শিশুর গলায় চেপে ধরে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘চিৎকার করলে তোর ৫ বছরের শিশুকে খুন করে ফেলব।’ তখন ভয়ে ওই নারী কৌশলে লম্পট হিমাদ্রীর কাছ থেকে এক দিন সময় চেয়ে নেন।
এরপর ওই নারীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তাকে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কের জন্য নানা প্রলোভন দেখান। ভুক্তভোগী নারীকে মামলা না করার ভয়ভীতিও দেখান। যার একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। কথোপকথনের ৬ মিনিট ৯ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী মোবাইল ফোনে বলেন, ‘থানায় অভিযোগ করার পর থেকে প্রাণসংশয়ে আছি। হিমাদ্রী এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোক। যেকোনো সময় আমার ছেলেকে মেরে ফেলতে পারে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে হিমাদ্রী দাসের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। পরে তার বাড়িতে গিয়েও পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। আসামি পলাতক থাকায় ধরতে পারছি না। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তথ্য সূত্র: আজকের পত্রিকা।