সিলেটে সনিয়া হত্যা মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে মামাতো ভাই সজিব
- আপডেট সময় : ০৪:২৭:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৬৫ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে আলোচিত সনিয়া আক্তার (২১) হত্যা মামলার প্রধান আসামি সজিবকে (২৯) তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আসামীকে আদালতে তোলার পর পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর মোমেন তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
এর আগে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সনিয়ার মামাতো ভাই সজিবকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানাধীন সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯। সজিব হবিগঞ্জ জেলার আজমেরীগঞ্জ উপজেলার শরীফনগর গ্রামের মো. নুরুদ্দিনের ছেলে। আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট নগরীর শেখঘাট খুলিয়াটুলা আবাসিক এলাকার নীলিমা-১৪ নম্বর বাসা থেকে সনিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। সনিয়া সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কলাছড়া গ্রামের বিল্লাল আহমদের মেয়ে ও দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। তিনি মা ও সৎ বাবার সঙ্গে ওই বাসার ৪র্থ তলায় থাকতেন। সনিয়া সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত নাটকে অভিনয় করতেন।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের আগের রাতে (শনিবার) সনিয়াদের বাসায় রাত্রিযাপন করেন তার মামাতো ভাই সজিব আহমদ। রোববার সকালে সনিয়া পরিবারের সদস্যদের সাথে নাস্তা করেন। এরপর পরিবারের অন্য সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি সনিয়ার সৎ বাবা সেলিম মিয়াকে দেখতে সেখানে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর সজিবও বাসা থেকে বের হয়ে যান। দুপুর ১২টার দিকে সাড়া-শব্দ না পেয়ে সনিয়ার ভাবি তাকে ডাকতে যান। সনিয়ার কক্ষে ঢুকে তিনি তার গলাকাটা লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং ওই কক্ষ থেকে একটি রক্তমাখা কাঁচি জব্দ করে।
ওইদিনই সনিয়ার পরিবারের দাবি করেছিল এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সজিব জড়িত। সনিয়ার ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার খোয়া গেছে বলেও দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা। আর ঘটনার পর থেকে সজিব গা ঢাকা দেওয়ায় এ ব্যাপারে পুলিশের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব-৯ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে র্যাব তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সজিবের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরে সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানাধীন সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।