সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডে কাজী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৪:১৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী মোঃ আব্দুল জলিল খানের পদ বিষয়ে সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সিসিক’র ২৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোনাফর আলীর ছেলে মোঃ আরশ আলী গত ২ ফেব্রুয়ারী ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় কমিশনার সিলেট, জেলা প্রশাসক সিলেট,চেয়ারম্যান, দূর্নীতি দমন কমিশন এবং আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের বিচার শাখা ৭ বরাবরে পৃথক পৃথক অভিযোগ প্রেরন করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার সালন খান বাড়ীর গ্রামের মৃত ফিরোজ খানের পুত্র মোঃ আব্দুল জলিল খান ভুয়া নাগরিকত্ব সনদের মাধ্যমে ২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী সিসিকর ২৪ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। অবৈধ ভাবে নিয়োগ লাভ করে জলিল খান শুধু ২৪ নং ওয়ার্ডে মনপুত হননি।
পাশ্ববর্তী ২৩ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার শিব্বির হাসান চৌধুরীর মৃত্যুর পর জলিল খান আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের স্মারক নং বিচার ৭/২ এস ৮/২০০০,তারিখ ০২/০৮/২০০১ ইং এবং জেলা রেজিস্ট্রার সিলেট এর পত্র সূত্র নং ২৩২৩(৪) তারিখ ০৪/০৮/২০০৯ ইং তারিখে শূন্য ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব লাভ করেন।
তাহার অবৈধ কার্যক্রমের পর এক পর্যায়ে তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। নিজের দায়িত্বকে ধরে রাখতে অব্যাহতির আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন দায়ের করেন জলিল খান। ২০২১ সালের ২৬ আগষ্ট হাইকোর্ট রোলটি ডিসচার্জ করেন।
নগরীর উপশহর এলাকার ২২ নং ওয়ার্ডের তার নিকটাত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করে নিজেকে ২৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তৈরী করে অবৈধ ভাবে নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেলেও নগরীতে তার কোন নিজস্ব আবাসস্হল নেই। ২৪ নং ওয়ার্ডের পাশাপাশি ২৩নং ওয়ার্ডে ও নিজেকে নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে নিচের আসল পরিচয় গোপন করে জলিল খান চালিয়ে যাচ্ছেন তার কার্যক্রম। যিনি বিগত আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলনে আসহাবে বদরীন সদস্য সনদে নিজেকে কাজী মোঃ আব্দুল জলিল খান হিসেবে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করেন।
আরশ আলীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিলেট জেলা রেজিস্ট্রার এর আদেশক্রমে কোম্পানীগন্জ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মোঃ আখলাকুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৯ মার্চ সিলেট জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এ বিষয়ে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে আলাপকালে ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ বলেন, সাময়িক ভাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত আব্দুল জলিল খান তার দায়িত্বের স্থায়িত্ব বাড়াতে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন। এ ওয়ার্ডের কোন নিকাহ রেজিস্ট্রার নেই। তিনি এ ওয়ার্ডের জন দূর্ভোগ লাগবে জরুরি ভিত্তিতে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানান।
জেলা রেজিস্ট্রার সিলেট এর কর্মকর্তা তারেক আজিজ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানিগঞ্জের সাব রেজিস্ট্রারকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।