দূর্ণীতি আর দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা হয়েগেছে: খন্দকার মুক্তাদির
- আপডেট সময় : ০৬:২৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩ ৫২ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল বলেছেন, দেশের মানুষ আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের ফলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। লাগামহীন লুটপাট, দূর্ণীতি আর দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা হয়েগেছে। চলতি রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের দাম কয়েকগুন বেড়েছে। মানুষ পেট ভরে ইফতার ও সেহরী করতে পারছে না। দেশে আজ গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, আইনের শাসন নেই। আজও ইফতার মাহফিলে আসার পথে পুলিশ আমাকে তুলে নিয়েছিল।
আওয়ামীলীগ ইফতার মাহফিলেও মানুষকে যেতে দেয়না। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহন্তরীন করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশে ফিরতে দেয়া হচ্ছে না। সর্বপোরী আওয়ামীলীগ দেশকে গভীর সংকটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। এই সংকট থেকে দেশেকে মুক্ত করতে হলে নির্দলীয় সরকারের অধিনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবী আদায় করে দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
শনিবার নগরীর একটি কনভেনশন হলে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ইফতারপূর্ব মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমাব ও আরাফাত রহমান খুকুর আত্মার মাগফেরাত, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা এবং চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ড. এনামুল হক চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়ন করে জনগনের নিকট দেশের মালিকানা বুঝিয়ে দিতে হবে। এই সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করে দেশে জনগণের ভোটে সরকার প্রতিষ্টা করতে হবে।
বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা বিএনপি নেতা এড আশিক উদ্দিন আশুক, ফয়সল আহমেদ চৌধুরী, ইশতিয়াক সিদ্দিকি, এড হাসান পাটোয়ারী রিপন, আজিজুর রহমান আজিজ, আলী আকবর, জসিম উদ্দিন, সারওয়ার হোসেন, নজরুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন সেলিম, শরীফুল হক, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, আব্দুল হাফিজ, আব্দুর রহমান, নোমান উদ্দিন মুরাদ, রায়হান এইচ খান।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, জেলা বিএনপি নেতা মামুনুর রশীদ (চাকসু), হাজী সাহাব উদ্দিন, ফখরুল ইসলাম ফারুক, একে এম তারেক কালাম, ইকবাল বাহার চৌধুরী, শহীদ আহমদ, সুরমান আলী, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল,মাহবুব কাদির শাহী, আনোয়ার হোসেন মানিক, মামুনুর রশীদ মামুন, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, এডভোকেট আবু তাহের, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, কোহিনূর আহমদ, এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, এডভোকেট সাইদ আহমদ, মাহবুবুল হক চৌধুরী, এড মুজিবুর রহমান মুজিব, জসিম উদ্দিন ,শাকিল মোর্শেদ, শাহ আলম স্বপন, শফিকুর রহমান, মুশিকুর রহমান মুহি, এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, রাহাত চৌধুরী মুন্না ,এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, জয়নাল আহমদ রানু, রেজাউল করিম নাচন, মতিউল বারী খুরশেদ,আলাউদ্দিন রিপন, নজরুল ইসলাম, জালাল খান, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, আহাদ চৌধুরী শামীম , আজিজুল হোসেন আজিজ, দেওয়ান জাকির, আফছর খান, কুমকুম ফাহিমা, সুলতানা রহমান দিনা, আলতাফ হোসেন সুমন, সুদীপ জ্যোতি এষ, দেলওয়ার হোসেন দিনার, ফজলে আহসান রাববী, উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মোঃ মাহবুব আলম, হাজী মোঃ শরীফুল হক প্রমূখ।
উল্লেখ্য, সিলেট জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিলে যোগদানের পথে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর তাকে ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়েই ইফতার মাহফিলে যোগদান করেন তিনি।