নিত্যপন্যের মূল্য উর্ধ্বগতির করনে দেশের শ্রমজীবী মানুষ ভালো নেই : খন্দকার মুক্তাদির
- আপডেট সময় : ০৬:৫১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩ ৫০ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, আওয়ামী লীগের অপশাসনের কারনে দেশের শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে কষ্টে আছে। নিত্যপন্যের মূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, বার বার তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারনে দেশের সাধারণ মানুষের ন্যায় শ্রমজীবীরাও ভলো নেই। সরকারের লাগামহীন লুটপাট, দূর্নীতি ও অর্থ পাচারের কারনে দেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ায় শ্রমজীবী মানুষরা তাদের শ্রমের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।
সবচেয়ে অবহেলিত আছেন দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক দিনমজুররা। মেগা প্রকল্পের নামে সরকার দলীয় নেতাদের মেগা দূর্নীতির কারনে মধ্যবিত্তরা নিম্নবিত্ত শ্রেণীতে নামছে আর নিম্নবিত্তরা দারিদ্র সীমার নিচে চলে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগ আর কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষকে বাঁচতে দেবে না। তাই শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়, শ্রমজীবী মানুষ ও সর্বস্তরের জনগনকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাজপথে নামতে হবে।
সোমবার দুপুরে নগরীর আম্বরখানা পয়েন্টে সিলেট জেলা ও মহানগর শ্রমিক দলের উদ্যোগে মহান মে দিবস উপলক্ষে র্যালী পরবর্তী সংক্ষিপ্ত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। র্যালীটি নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আম্বরখানা পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।
সিলেট জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলীর সভাপতিত্বে, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জীবনের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগের লাগামহীন লুটপাটের কারনে দেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। ফলে দেশের শ্রমজীবী ভাইবোনেরা পরিবার নিয়ে দু’বেলা পেটভারে খেতে পারে না। দেশের একটি নির্দিষ্ট গোস্টি লুটপাট করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ছে, আর দেশের সাধারণ মানুষে পেটভরে দু’বেলা খেতে পারে না। এমনটি চলতে দেয়া যায় না। এই বৈষম্য দূর করতে হলে দেশনায়ক তারেক রহমান ঘোষিত ১০ দফা দাবীর পক্ষে দেশের অন্যান্য পেশাজীবি ও সাধারণ মানুষের ন্যায় শ্রমজীবীদেরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সময় আর বেশী বাকি নেই, লুটেরাদের পতন অনিবার্য।
মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের ফলে দেশের সাধারণ মানুষের ন্যায় শ্রমজীবীরাও অতিষ্ঠ। দেশে সর্বস্থরের মানুষ এখন বিএনপির ১০ দফা দাবীর প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে। তাই আওয়ামীলীগের বিদায় সুনিশ্চিত।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের নামে জনগনের সাথে তামাশা করছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে বিএনপির চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি বিএনপির কোন নেতাকর্মী আওয়ামীলীগের পাতানো ফাঁদে পা দেবে না। দলের কোন নেতা বা কর্মী এই সরকারের অধিনে প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নিলে তা বরদাস্ত করা হবে না।
সমাবেশে সিলেট জেলা ও মাহানগর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, শ্রমিকদল সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।