ঢাকা ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নওগাঁর মান্দায় মিষ্টি আলুর গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের দিয়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন নওগাঁয় পাগলা শিয়ালের আক্রমন ও কামড়ে ৩ নারীসহ ৫ জন আহত কাজ না করে সরকারি টাকা লোপাট” এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে পথ সভা মান্দায় মণ্ডপে মণ্ডপে নগদ অর্থ উপহার দিলেন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা, ইকরামুল বারী টিপু নওগাঁ মান্দা একরুখী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দেখার মত মনে হয় কেহ নাই ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে এনায়েতপুরে বিক্ষোভ মিছিল দি সিলেট ইসলামিক সোসাইটিরপঞ্চম শ্রেণি মেধাবৃত্তি প্রদান সম্পন্ন নর্থইস্ট নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদেরআন্দোলন, কলেজ বন্ধ ঘোষণা জগন্নাথপুরে আফজল হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

জগন্নাথপুর শিক্ষা অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:০৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারি আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, আরও নানা অনিয়মের পাশাপাশি ভুয়া বাউচার বানিয়ে অফিসের টাকা উত্তোলনেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের বাংলাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকাকে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারি আব্দুল কুদ্দুস বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনায় তদন্তে বুধবার (৩ মে) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ভিকটিম সহকারি শিক্ষিকা বলেন, ‘আমাকে সে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে মোবাইলে মেসেজ ও ফোনে কুপ্রস্তাব করে আসছে। আমি তার কথায় রাজি না হওয়ায় সে আমার চাকরি খেয়ে ফেলবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরুপায় হয়ে গত ০২ মে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন বলেন, ‘একজন সহকারি শিক্ষিকা অভিযোগ করেছে। আমরা তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি।’

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ও তদন্ত কমিটির সদস্য রাপ্রমাই মারমা বলেন, ‘একজন সহকারি শিক্ষিকার সাথে একটা জামেলা হয়েছে। আমাকে তদন্ত কমিটিতে রাখা হয়েছে।’

তদন্ত কমিটির প্রধান এলজিডি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘সহকারি শিক্ষিকার অভিযোগে আমাকে প্রধান করে তিন সদস্য কমিটির করা হয়। আগামীকাল তদন্ত কাজ শুরু হবে।’

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করে দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে শিক্ষক ও এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসি বলেন, ‘আমরা ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য বিদ্যালয়ে পাঠাই। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দুর্নীতি ও যৌন হয়রানী হয় জানতাম না। এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক ও লজ্জিত। আমরা তার বিচার চাই।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমান বলেন, ‘আজ তাকে তাহিরপুর স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তদন্তে অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে অফিস সহকারী আব্দুল কুদ্দুস সাথে মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জগন্নাথপুর শিক্ষা অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:০৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারি আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, আরও নানা অনিয়মের পাশাপাশি ভুয়া বাউচার বানিয়ে অফিসের টাকা উত্তোলনেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের বাংলাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকাকে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারি আব্দুল কুদ্দুস বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনায় তদন্তে বুধবার (৩ মে) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ভিকটিম সহকারি শিক্ষিকা বলেন, ‘আমাকে সে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে মোবাইলে মেসেজ ও ফোনে কুপ্রস্তাব করে আসছে। আমি তার কথায় রাজি না হওয়ায় সে আমার চাকরি খেয়ে ফেলবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরুপায় হয়ে গত ০২ মে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন বলেন, ‘একজন সহকারি শিক্ষিকা অভিযোগ করেছে। আমরা তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি।’

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ও তদন্ত কমিটির সদস্য রাপ্রমাই মারমা বলেন, ‘একজন সহকারি শিক্ষিকার সাথে একটা জামেলা হয়েছে। আমাকে তদন্ত কমিটিতে রাখা হয়েছে।’

তদন্ত কমিটির প্রধান এলজিডি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘সহকারি শিক্ষিকার অভিযোগে আমাকে প্রধান করে তিন সদস্য কমিটির করা হয়। আগামীকাল তদন্ত কাজ শুরু হবে।’

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করে দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে শিক্ষক ও এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসি বলেন, ‘আমরা ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য বিদ্যালয়ে পাঠাই। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দুর্নীতি ও যৌন হয়রানী হয় জানতাম না। এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক ও লজ্জিত। আমরা তার বিচার চাই।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমান বলেন, ‘আজ তাকে তাহিরপুর স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তদন্তে অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে অফিস সহকারী আব্দুল কুদ্দুস সাথে মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।