রেজান আলীর প্রতারণার ফাঁদে বালাগঞ্জের ফারুক মিয়া
- আপডেট সময় : ১০:৫০:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ৭২ বার পড়া হয়েছে
বিভাগীয় ব্যুরো চীফ : সিলেট
ফারুক মিয়া(৬৪) পিতা: মৃত:হাছান উল্যাহ সাং- নোয়াপাতন, ডাক: বালাগন্জ , জেলা – সিলেট এর সাথে আলাপকালে জানাযায়, বালাগন্জ থানায় স্বশরীরে হাজির হইয়া জানান যে, মো: রেজান আলী (৬০) পিতা: পিতা: অজ্ঞাত সাং- খড়ারিয়া ( মুক্তিরচক) ডাক: বিরাহিমপুর, মোগলাবাজার, সিলেট এর সাথে দীর্ঘদিন যাবত তিনির গাছের ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তিনি রেজান আলীর সাথে পরিচয় হয় ফারুক মিয়ার পুত্রের সাথে এবং এক পর্যায়ে ফারুক মিয়ার ছেলেকে ইতালী পাঠানোর নাম করে রেজান আলীর কাছ থেকে নগদ ৯,০০০০০/-( নয় লক্ষ টাকা) হাতিয়ে নেন। ছেলেকে ইতালী পাঠাতে না পেরে রেজান আলীর উপযুক্ত মেয়েকে ফারুক মিয়ার ছেলের সাথে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ফারুক মিয়া সরল মনে বিয়েতে রাজি হয়ে যান। ফারুক মিয়া বিষয়টি সহজ সরলভাবে নিলে ও রেজান আলী টাকা আত্নসাতের লোভে তাহার মেয়ে সুমী বেগমকে বিয়ে দেয় বলে এখন তারা বুঝতে পারতেছেন । বিয়ের দেড় মাসের মাথায় মেয়েকে তার বাবা রেজান আলী তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং ফারুক মিয়ার ছেলেকে তাদের বাড়িতে থাকতে হবে বলে প্রস্তাব দেন। মেয়ে তার স্বামীর বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় তাহার শ্বশুড়ের বোনের (মায়ারুনের) আলমিরায় রাখা সাড়ে চার ভরি সমপরিমাণ স্বর্ণ খুজিয়া নিয়ে যান, যার আনু: মূল্য ৪,৫০০০০/- ( চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) ও নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা বলে জানান মায়ারুন। যখন রেজান আলীর টাকা না দেওয়ার পায়তারা সবাই বুঝতে পারেন তখন মেয়েকে জামাইর বাড়ী আসতে বার বার ফোন করলে মেয়ে সুমি বেগম আর আসবেনা বলে জানান তাহার স্বামীর কাছে। সুমি বেগমের নতুন স্বামী টেনশানে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্ত্রীকে ফোন দিয়ে রাগ করে আসতে বললে সুমি বেগম স্বামীকে মামলা, হামলার ভয় দেখিয়ে ডিস্টার্ব না করতে বলেন। ঘটনাটি জটিল আচ করতে পেরে সুমী বেগমের নামে মোগলাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে একটি নোটিশ প্রেরণ করলে ও তাতে তারা কর্ণপাত করেন নাই। কিন্তু বিষয়টি সন্দেহ জনক হলে কোন উপায় না পেয়ে একটি মানবাধিকার সংগঠনের স্মরনাপন হোন পিতা ফারুক মিয়া। মানবাধিকার সংগঠনের তদন্তকারী একজন মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক বিষয়টি তদন্তে আসলে সুন্দর ব্যবহার করলে ও পরবর্তীতে চলেগেলে মানবাধিকার কর্মী আপোষ মিমাংসার জন্য সমঝোতা বৈঠকের আহবান করেন এতে ফারুক মিয়া আপোষ মিমাংসায় রাজি থাকলে ও রেজান আলী খুবই খারাপ আচরণ করেন যে, মেয়েকে দিয়ে তিনি মামলা রেডি করতেছেন, ছেলেকে জেলে ডুকাইয়া দিবেন বলে হুমকি দেন যা মোবাইলে রেকর্ডভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে কোন সুরাহা না পেয়ে ফারুক মিয়া বালাগন্জ থানায় গিয়ে একটি মামলা করেন যেখানে আসামী করা হয় প্রতারক রেজান আলী ও তার মেয়ে সুমি বেগমকে। ইতালী পাঠানোর টাকা ও স্বর্ণ লোকিয়ে এখন আর মেয়ে সংসার করবে না বলে জানান রেজান আলী। ফারুক মিয়া বলেন ৬৪ বছর বয়সে অনেক কিছু দেখেছি কিন্তু রেজান আলীর মতো প্রতারক দেখি নাই। টাকার বিনিময়ে মেয়েকে বিক্রি করতে চাইছিলো কিন্তু আমরা তো গরীব মানুষ হিসাবে টাকা গুলো করজ করে এনেছি, এগুলো মানুষের পাওনা টাকা, এটাকা দিতে হবে তাই আমরা বিপদে আছি। ফারুক মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে অসম্মান করলো আর আমাকে তো বিপদে ফেলে দিছে রেজান আলী আমি তাহার বিচার দাবী করছি।
ফারুক মিয়া ভিশন এস টিভির সিলেট প্রতিনিধির সাথে আলাপ কালে বলেন আপনারা দেখবেন আমি যেন সঠিক ন্যায় বিচার পাই আর পরবর্তীতে আমার টাকা ও ছেলের বউ ফিরে না আসলে আপনাদের মাধ্যমে আমি সাংবাদিক সম্মেলন করবো যাথে এলাকা ও দেশের মানুষ এই প্রতারককে চিনতে পারে।