সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের লক্ষীবাউর (মাঝপাড়া) গ্রামে প্রকাশ্যে গাজা বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি অসামাজিক ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জানা যায়, লক্ষীবাউর (মাঝপাড়া) গ্রামের নূর হোসেনের স্ত্রী, চিহ্নিত গাজা ব্যবসায়ী সুলতানা বেগম দীর্ঘ দিন ধরে গাজা বিক্রি ও সুদী ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। শুধু গাজার ব্যবসায় নয় সে গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে সুদের ওপর টাকা দিয়ে তাদেরকে নিঃস্ব করছে।

ব্যবসায়ী সুলতানা বেগম-কে গাজা ব্যবসায়ী সহযোগিত করে আসছে তার স্বামী নূর হোসেন। তিনি গাজা ব্যবস্থা বন্ধ করতে কোন উদ্যোগ নেয়নি।

সুলতানাকে গাজা ব্যবসায়ী সহযোগিতা করে যাচ্ছেন গ্রামের রেজিমুল হক, সাইদুল হক, আব্দুছ ছাত্তার, মোহাম্মদ আলী, জাকির হোসেন, আব্দুল আমীন সহ আরো কয়েকজন।

উল্লেখ্য, গাজা ব্যবসায়ী সুলতানা বেগম এর সহযোগী রেজিমুল হক-কে ২০২১ সালে পুলিশের অভিযানে গাজা সহ সিলেট নগরীর মাছুদিঘিরপার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রহস্যজন ভাবে কোন শাস্তি ভোগ না করেই পুলিশ হেফজত থেকে সে ছাড়া পায়।

গ্রাম এলাকায় গাজ সহজে পাওয়া যাওয়ায় তরুণদের আসক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বিধ্বংসকারী মাদকের বিস্তার সমাজে যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সচেতন অভিভাবক মহল উদ্ধিগ্ন। মাদকাসক্ত সন্তানের কারনে এক একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গাজা আসক্ত সন্তানকে নিয়ে পরিবারগুলো দিশেহারা হয়ে পড়ছে। গাজাসেবীরা ক্রমেই নেমে পড়েছে অপরাধ জগতে।

সুলতানার গাজা ব্যবসার কারণে গ্রামের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, দিন দিন অপরাধীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই এলাকাবাসী গাজা ব্যবসা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। নতুবা বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারেন। বিজ্ঞপ্তি