ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়পুরহাটে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত -১, আহত- ১ জয়পুরহাটে আগাম জাতের আলু তোলায় ব্যস্ত কৃষক লিট্ল স্টার মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন লিট্ল স্টার কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলে চাকরির সুযোগ লিট্‌ল স্টার মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২৪ সম্পন্ন নওগাঁর মান্দায় মিষ্টি আলুর গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের দিয়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন নওগাঁয় পাগলা শিয়ালের আক্রমন ও কামড়ে ৩ নারীসহ ৫ জন আহত কাজ না করে সরকারি টাকা লোপাট” এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে পথ সভা মান্দায় মণ্ডপে মণ্ডপে নগদ অর্থ উপহার দিলেন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা, ইকরামুল বারী টিপু

“কতিপয় মিডিয়ায় হলুদ সাংবাদিকতার চর্চা লজ্জাজনক” – আজিজুল হক ইসলামাবাদী

প্রতিনিধির নামঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

আজিজুল হক ইসলামাবাদী

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সুনামগঞ্জের শাল্লায় নিরীহ হিন্দুদের বসতভিটায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি মূল হোতা হিসেবে জড়িত সত্ত্বেও কতিপয় সংবাদপত্র ও সম্প্রচারমাধ্যম প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান ও ভেরিফিকেশন ছাড়াই সংঘবদ্ধভাবে হেফাজতে ইসলামকে জড়িয়ে অপপ্রচারণা চালানোর প্রতিবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী আজ সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে আজিজুল হক বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ও বাড়িঘরে যখনই কোনো ধরনের হামলা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তখনই আমাদের দেশের কতিপয় ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া লক্ষণীয়ভাবে হেফাজতে ইসলাম এবং দেশের ওলামায়ে কেরাম ও মাদ্রাসার ওপর দায় চাপিয়ে বিভ্রান্ত্রিকর ও প্রপাগান্ডামূলক সাংবাদিকতার চর্চা করে, যা সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালার পরিপন্থি। সুনামগঞ্জের শাল্লার ঘটনা নিয়ে কয়েকটি ভারতপন্থী মিডিয়া ঘটনার গভীর অনুসন্ধান ও সংবাদের ভেরিফিকেশন নিশ্চিত না করেই সংঘবদ্ধভাবে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালিয়েছে। অথচ পরবর্তীতে ঘটনার ভিন্ন বাস্তবতা প্রকাশ পেয়েছে। এটিকে আমরা ইসলামবিদ্বেষী হলুদ সাংবাদিকতার ‘টেক্সটবুক উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করছি।

তিনি বলেন, এটি প্রায়ই দৃশ্যমান যে, ইসলাম, মুসলমান, ওলামায়ে কেরাম ও মাদরাসা প্রশ্নে কিছু চিহ্নিত ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সবসময় প্রপাগান্ডার কলাকৌশল অবলম্বন করে থাকে। আর বিশেষত তৌহিদি জনতার আধ্যাত্মিক রাহবার ও হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী (দা.বা.) সম্পর্কে তারা ক্রমাগত মিথ্যাচার করে এসেছে। সাম্প্রতিককালে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সম্পর্কেও তারা প্রপাগান্ডা চালানো শুরু করেছে। সচেতন তৌহিদি জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আলেম-ওলামা গর্জে উঠলে কোনো বাতিল অপশক্তির রেহাই হবে না।

তিনি আরো বলেন, ইসলাম ও আলেম-ওলামার বিরুদ্ধে সাংবাদিকতাকে প্রপাগান্ডার হাতিয়ার হিসেবে ক্রমাগত ব্যবহার করার কারণে আজ কিছু মিডিয়া সচেতন জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়েছে। বিশ্বাসযোগ্যতা, বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতা শুধু সংবাদের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত তা-ই নয়, বরং সাংবাদিকতার পেশাদার নীতিমালার মূল ভিত্তিও বটে। তাই, আমরা সেকুলার মিডিয়াগুলোর প্রতি সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণে আরো দায়িত্বশীল ও নিষ্ঠাবান হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

“কতিপয় মিডিয়ায় হলুদ সাংবাদিকতার চর্চা লজ্জাজনক” – আজিজুল হক ইসলামাবাদী

আপডেট সময় : ০৫:৫৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১
সুনামগঞ্জের শাল্লায় নিরীহ হিন্দুদের বসতভিটায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি মূল হোতা হিসেবে জড়িত সত্ত্বেও কতিপয় সংবাদপত্র ও সম্প্রচারমাধ্যম প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান ও ভেরিফিকেশন ছাড়াই সংঘবদ্ধভাবে হেফাজতে ইসলামকে জড়িয়ে অপপ্রচারণা চালানোর প্রতিবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী আজ সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে আজিজুল হক বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ও বাড়িঘরে যখনই কোনো ধরনের হামলা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তখনই আমাদের দেশের কতিপয় ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া লক্ষণীয়ভাবে হেফাজতে ইসলাম এবং দেশের ওলামায়ে কেরাম ও মাদ্রাসার ওপর দায় চাপিয়ে বিভ্রান্ত্রিকর ও প্রপাগান্ডামূলক সাংবাদিকতার চর্চা করে, যা সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালার পরিপন্থি। সুনামগঞ্জের শাল্লার ঘটনা নিয়ে কয়েকটি ভারতপন্থী মিডিয়া ঘটনার গভীর অনুসন্ধান ও সংবাদের ভেরিফিকেশন নিশ্চিত না করেই সংঘবদ্ধভাবে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালিয়েছে। অথচ পরবর্তীতে ঘটনার ভিন্ন বাস্তবতা প্রকাশ পেয়েছে। এটিকে আমরা ইসলামবিদ্বেষী হলুদ সাংবাদিকতার ‘টেক্সটবুক উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করছি।

তিনি বলেন, এটি প্রায়ই দৃশ্যমান যে, ইসলাম, মুসলমান, ওলামায়ে কেরাম ও মাদরাসা প্রশ্নে কিছু চিহ্নিত ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সবসময় প্রপাগান্ডার কলাকৌশল অবলম্বন করে থাকে। আর বিশেষত তৌহিদি জনতার আধ্যাত্মিক রাহবার ও হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী (দা.বা.) সম্পর্কে তারা ক্রমাগত মিথ্যাচার করে এসেছে। সাম্প্রতিককালে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সম্পর্কেও তারা প্রপাগান্ডা চালানো শুরু করেছে। সচেতন তৌহিদি জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আলেম-ওলামা গর্জে উঠলে কোনো বাতিল অপশক্তির রেহাই হবে না।

তিনি আরো বলেন, ইসলাম ও আলেম-ওলামার বিরুদ্ধে সাংবাদিকতাকে প্রপাগান্ডার হাতিয়ার হিসেবে ক্রমাগত ব্যবহার করার কারণে আজ কিছু মিডিয়া সচেতন জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়েছে। বিশ্বাসযোগ্যতা, বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতা শুধু সংবাদের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত তা-ই নয়, বরং সাংবাদিকতার পেশাদার নীতিমালার মূল ভিত্তিও বটে। তাই, আমরা সেকুলার মিডিয়াগুলোর প্রতি সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণে আরো দায়িত্বশীল ও নিষ্ঠাবান হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।