“কতিপয় মিডিয়ায় হলুদ সাংবাদিকতার চর্চা লজ্জাজনক” – আজিজুল হক ইসলামাবাদী
- আপডেট সময় : ০৫:৫৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১ ৮৭ বার পড়া হয়েছে
বিবৃতিতে আজিজুল হক বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ও বাড়িঘরে যখনই কোনো ধরনের হামলা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তখনই আমাদের দেশের কতিপয় ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া লক্ষণীয়ভাবে হেফাজতে ইসলাম এবং দেশের ওলামায়ে কেরাম ও মাদ্রাসার ওপর দায় চাপিয়ে বিভ্রান্ত্রিকর ও প্রপাগান্ডামূলক সাংবাদিকতার চর্চা করে, যা সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালার পরিপন্থি। সুনামগঞ্জের শাল্লার ঘটনা নিয়ে কয়েকটি ভারতপন্থী মিডিয়া ঘটনার গভীর অনুসন্ধান ও সংবাদের ভেরিফিকেশন নিশ্চিত না করেই সংঘবদ্ধভাবে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালিয়েছে। অথচ পরবর্তীতে ঘটনার ভিন্ন বাস্তবতা প্রকাশ পেয়েছে। এটিকে আমরা ইসলামবিদ্বেষী হলুদ সাংবাদিকতার ‘টেক্সটবুক উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করছি।
তিনি বলেন, এটি প্রায়ই দৃশ্যমান যে, ইসলাম, মুসলমান, ওলামায়ে কেরাম ও মাদরাসা প্রশ্নে কিছু চিহ্নিত ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সবসময় প্রপাগান্ডার কলাকৌশল অবলম্বন করে থাকে। আর বিশেষত তৌহিদি জনতার আধ্যাত্মিক রাহবার ও হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী (দা.বা.) সম্পর্কে তারা ক্রমাগত মিথ্যাচার করে এসেছে। সাম্প্রতিককালে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সম্পর্কেও তারা প্রপাগান্ডা চালানো শুরু করেছে। সচেতন তৌহিদি জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আলেম-ওলামা গর্জে উঠলে কোনো বাতিল অপশক্তির রেহাই হবে না।
তিনি আরো বলেন, ইসলাম ও আলেম-ওলামার বিরুদ্ধে সাংবাদিকতাকে প্রপাগান্ডার হাতিয়ার হিসেবে ক্রমাগত ব্যবহার করার কারণে আজ কিছু মিডিয়া সচেতন জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়েছে। বিশ্বাসযোগ্যতা, বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতা শুধু সংবাদের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত তা-ই নয়, বরং সাংবাদিকতার পেশাদার নীতিমালার মূল ভিত্তিও বটে। তাই, আমরা সেকুলার মিডিয়াগুলোর প্রতি সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণে আরো দায়িত্বশীল ও নিষ্ঠাবান হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।