ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন ::
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন এর জন্য যোগাযোগ করুনঃ ০১৫৭২-৬৩১৭৪৫
বিজ্ঞপ্তিঃ ::
আমাদের পত্রিকাতে সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠিয়ে দিন ই-মেইলেঃ sylhetertimes24@gmail.com

ভোর ৬ টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের টাইমস এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

(২৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত মন্দির ও এর আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম এক আদেশের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

 

তিনি জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে যে কোনো ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রশিক রায় জিউ মন্দিরের জমি ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে সনাতন ধর্মের প্রচলিত অনুসারী ও ইসকন সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর আগে ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজা চলাকালীন এই মন্দিরে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় ফুলবাবু নামে এক সনাতন ধর্মাবলম্বী নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তখন প্রশাসন মন্দিরটি সিলগালা করে এবং কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।

 

এ বছর শ্রী শ্রী শিবরাত্রি ব্রত পূজাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়। দুই পক্ষই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে প্রশাসন সতর্ক অবস্থান নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ইউএনও মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘জিউ মন্দিরের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। অতীতে এ নিয়ে প্রাণহানি ঘটেছে। এবছর শিবরাত্রি পূজা উপলক্ষে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’ তিনি আরো জানান, এই সময়ে মন্দির এলাকায় চারজনের বেশি লোক একত্রিত হতে পারবে না, কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করা যাবে না এবং উভয় পক্ষের জন্য মন্দিরসংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ সীমিত রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ ও র‍্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জিউ মন্দির নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব বহু পুরোনো। প্রতিবারই পূজা বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় এ ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়। এতে সাধারণ হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আতঙ্কে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ বলেন, ‘আমরা চাই, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক। ধর্মীয় স্থানে এমন উত্তেজনা কাম্য নয়।’ জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং ১৪৪ ধারা কার্যকর রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভোর ৬ টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি

আপডেট সময় : ০৪:৪২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

(২৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত মন্দির ও এর আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম এক আদেশের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

 

তিনি জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে যে কোনো ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রশিক রায় জিউ মন্দিরের জমি ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে সনাতন ধর্মের প্রচলিত অনুসারী ও ইসকন সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর আগে ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজা চলাকালীন এই মন্দিরে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় ফুলবাবু নামে এক সনাতন ধর্মাবলম্বী নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তখন প্রশাসন মন্দিরটি সিলগালা করে এবং কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।

 

এ বছর শ্রী শ্রী শিবরাত্রি ব্রত পূজাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়। দুই পক্ষই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে প্রশাসন সতর্ক অবস্থান নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ইউএনও মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘জিউ মন্দিরের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। অতীতে এ নিয়ে প্রাণহানি ঘটেছে। এবছর শিবরাত্রি পূজা উপলক্ষে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’ তিনি আরো জানান, এই সময়ে মন্দির এলাকায় চারজনের বেশি লোক একত্রিত হতে পারবে না, কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করা যাবে না এবং উভয় পক্ষের জন্য মন্দিরসংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ সীমিত রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ ও র‍্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জিউ মন্দির নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব বহু পুরোনো। প্রতিবারই পূজা বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় এ ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়। এতে সাধারণ হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আতঙ্কে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ বলেন, ‘আমরা চাই, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক। ধর্মীয় স্থানে এমন উত্তেজনা কাম্য নয়।’ জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং ১৪৪ ধারা কার্যকর রয়েছে।