ঢাকা ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়পুরহাটে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত -১, আহত- ১ জয়পুরহাটে আগাম জাতের আলু তোলায় ব্যস্ত কৃষক লিট্ল স্টার মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন লিট্ল স্টার কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলে চাকরির সুযোগ লিট্‌ল স্টার মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২৪ সম্পন্ন নওগাঁর মান্দায় মিষ্টি আলুর গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের দিয়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন নওগাঁয় পাগলা শিয়ালের আক্রমন ও কামড়ে ৩ নারীসহ ৫ জন আহত কাজ না করে সরকারি টাকা লোপাট” এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে পথ সভা মান্দায় মণ্ডপে মণ্ডপে নগদ অর্থ উপহার দিলেন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা, ইকরামুল বারী টিপু

মিথ্যা জবানবন্দি দিয়ে রিপন হত্যা মামলায় আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে

প্রতিনিধির নামঃ
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০ ১০০ বার পড়া হয়েছে

সংবাদ সম্মেলন

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আদালতে মিথ্যা জবানবন্দি দিয়ে ছেলে সাগরকে ‘রিপন হত্যা’র ঘটনায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন রিনা বগেম নামে একে নারী। শনিবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন। রীনা বেগম দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি এলাকার শফিক আহমদের স্ত্রী।

লিখিতি বক্তব্যে রিনা বগেম বলেন, চলতি বছরের ১০ জুলাই ইজাজুল ইসলাম ও মো. রেজোয়ান হোসেন রিমুর নেতৃত্বে বাবনা পয়েন্ট এলাকায় কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে ট্যাংক-লরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন রিপনকে কুপিয়ে হত্যা করে

এ ঘটনায় রিমু আমার ছেলে সাগরকে ফাঁসাতে আদালতে মিথ্যা জবানবন্দি দিয়েছে। অথচ বরইকান্দি এলাকায় সবসময় এলাকা ভিত্তিক মারামারির ঘটনা ঘটার কারণে এবং এসব থেকে রক্ষার জন্য বড় ছেলে সাওয়াল হোসেন সাগরকে আমি আমার চাচার বাসায় শিবগঞ্জে রাখি। গত রমজান মাসে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ইজাজুল ইসলাম ও মো. রেজোয়ান হোসেন রিমুর সহিত আমার বড় ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি জানার পর সাগরকে আমার চাচার বাসায় পাঠিয়ে দেই।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ক্ষেপে গিয়ে ট্যাংক-লরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন রিপন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মো. রেজোয়ান হোসেন রিমুকে পুলিশ রিমান্ডে নিলে সে আমার নিরাপরাধ ছেলেকে খুনের মামলায় ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে তার জবানবন্দিতে আমার ছেলের নাম (সাগর) জড়িয়ে মিথ্যা স্টেইটমেন্ট দেয়। এসব তথ্য যাচাই বাচাই না করেই পুলিশ একাধিকবার আমার বাসায় অভিযান করে আমার ছেলেকে ধরার জন্য। অথচ ঘটনার দিন ওই সময়ে আমার ছেলে তার নানার বাসায় ছিল। পুলিশ ইচ্ছে করলেই ঘটনার দিন ও তারিখে আমার ছেলের ব্যবহৃতত মোবাইল ফোনের কললিষ্ট যাচাই করলেই আসল সত্য জানা সম্ভব হবে।তিনি বলেন, আসামি ইজাজুল ও রিমু পূর্ব শত্রুতার জেরে ইচ্ছে করেই আদালতে আমার ছেলের নামে মিথ্যা জবানবন্দি দিয়েছে। আমার ছেলে এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়। মামলার বাদী এবং সাক্ষীরাও আমাকে এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মিথ্যা জবানবন্দি দিয়ে রিপন হত্যা মামলায় আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০

আদালতে মিথ্যা জবানবন্দি দিয়ে ছেলে সাগরকে ‘রিপন হত্যা’র ঘটনায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন রিনা বগেম নামে একে নারী। শনিবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন। রীনা বেগম দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি এলাকার শফিক আহমদের স্ত্রী।

লিখিতি বক্তব্যে রিনা বগেম বলেন, চলতি বছরের ১০ জুলাই ইজাজুল ইসলাম ও মো. রেজোয়ান হোসেন রিমুর নেতৃত্বে বাবনা পয়েন্ট এলাকায় কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে ট্যাংক-লরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন রিপনকে কুপিয়ে হত্যা করে

এ ঘটনায় রিমু আমার ছেলে সাগরকে ফাঁসাতে আদালতে মিথ্যা জবানবন্দি দিয়েছে। অথচ বরইকান্দি এলাকায় সবসময় এলাকা ভিত্তিক মারামারির ঘটনা ঘটার কারণে এবং এসব থেকে রক্ষার জন্য বড় ছেলে সাওয়াল হোসেন সাগরকে আমি আমার চাচার বাসায় শিবগঞ্জে রাখি। গত রমজান মাসে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ইজাজুল ইসলাম ও মো. রেজোয়ান হোসেন রিমুর সহিত আমার বড় ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি জানার পর সাগরকে আমার চাচার বাসায় পাঠিয়ে দেই।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ক্ষেপে গিয়ে ট্যাংক-লরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন রিপন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মো. রেজোয়ান হোসেন রিমুকে পুলিশ রিমান্ডে নিলে সে আমার নিরাপরাধ ছেলেকে খুনের মামলায় ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে তার জবানবন্দিতে আমার ছেলের নাম (সাগর) জড়িয়ে মিথ্যা স্টেইটমেন্ট দেয়। এসব তথ্য যাচাই বাচাই না করেই পুলিশ একাধিকবার আমার বাসায় অভিযান করে আমার ছেলেকে ধরার জন্য। অথচ ঘটনার দিন ওই সময়ে আমার ছেলে তার নানার বাসায় ছিল। পুলিশ ইচ্ছে করলেই ঘটনার দিন ও তারিখে আমার ছেলের ব্যবহৃতত মোবাইল ফোনের কললিষ্ট যাচাই করলেই আসল সত্য জানা সম্ভব হবে।তিনি বলেন, আসামি ইজাজুল ও রিমু পূর্ব শত্রুতার জেরে ইচ্ছে করেই আদালতে আমার ছেলের নামে মিথ্যা জবানবন্দি দিয়েছে। আমার ছেলে এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়। মামলার বাদী এবং সাক্ষীরাও আমাকে এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।